নির্মাতা ব্রাত্য বসুর এ চলচ্চিত্রে গত ১১ মার্চ থেকে কলকাতার কফি হাউজসহ বিভিন্ন লোকেশনে ছবির শুটিংয়ে অংশ নেন এ অভিনেতা।
বুধবার পর্যন্ত তার শুটিংয়ে শিডিউল থাকলেও সোমবার রাতেই এ অভিনেতাকে ঢাকায় ফিরতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি ফিরদাউসুল হাসান।
টাইমস অব ইন্ডিয়াকে তিনি বলেন, “২১ ও ২২ মার্চ শান্তিনিকেতনে সিনেমাটির শুটিং ছিল। করোনা সতকর্তা হিসেবে ছবির শুটিং স্থগিত করেছি। সোমবারেই ছবির বাংলাদেশি অভিনেতা মোশাররফ করিমকে দেশে পাঠানো হয়েছে। আকাশপথে পথে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় সড়ক পথে তিনি ঢাকায় ফিরেছেন।”
তবে এ বিষয়ে মোশাররফ করিমের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ চলচ্চিত্রে এক ব্যবসায়ীর চরিত্রে দেখা যাবে মোশাররফ করিমকে; তার বিপরীতে দেখা যাবে পৌলমী বসুকে। চলচ্চিত্রে আরও অভিনয় করছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়ম,পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, নুসরাত জাহান।
বুদ্ধদেব গুহর দু’টি ছোট গল্প ‘বাবা হওয়া’ ও ‘স্বামী হওয়া’ অবলম্বনে ছবির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডিকশনারি’।
করোনার প্রাদুর্ভারের পর ভারতজুড়ে ১৯ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ চলচ্চিত্র নির্মাণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রোডিউসার্স গিল্ড অফ ইন্ডিয়া।
সিএনএনের এ খবরে বলা হয়েছে, এক বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কুলমিত মাক্কার জানান, “আমাদের সহকর্মীদের স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে প্রাধান্য পাবে। তাই এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাতে প্রোডাকশনের কাজ স্থগিত করা হচ্ছে।”
সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাট্টা হয়ে টালিগঞ্জেও চলচ্চিত্র নির্মাণ স্থগিত রাখা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন কলকাতা প্রযোজক-পরিবেশকদের সংগঠন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের মধ্যে সকর্ত থাকতে পুরো দেশের সঙ্গে টালিগঞ্জেও সব ধরনের শুটিং স্থগিত রাখা হয়েছে। ৩১ মার্চ অব্দি শুটিং বন্ধ থাকার পর নীতিনির্ধারদের বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।”