ছবিটি মুক্তির আগে বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, “ছবিটি নির্মাণ করতে গিয়ে অনেকের সঙ্গে রাগারাগি করেছি, দুঃখ দিয়েছি। হয়তো এটাই আমার শেষ ছবি। হয়তো এখানেই সমাপ্তি। হয়তো আর কখনো ক্যামেরার পেছনে দাঁড়িয়ে অ্যাকশন-কাট বলব না।”
বছরখানেক আগে মারাত্মক অসুস্থতা নিয়ে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সত্তরোর্ধ এ পরিচালক।
তিনি বলেন, “আপনারা অনেকেই জানেন, পৌনে এক ঘণ্টা প্রায় মৃত ছিলাম; সেখান থেকে ফিরে এসে ছবি নির্মাণ করতে পারব এটা ভাবতে পারিনি। আমি ছবি নির্মাণ করেছি। ছবিটি নির্মাণের ক্ষেত্রে যাদের সহযোগিতা পেয়েছি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।”
১৯৭৪ সালে ডিসেম্বরে সহকারী পরিচালক হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু করেন তিনি। ১৯৭৮ নির্মিত ‘দ্য ফাদার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার; ছবিটি মুক্তি পায় ১৯৭৯ সালে।
প্রায় ৪৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি ‘দাঙ্গা’, ‘আম্মাজান’সহ বেশ কয়েকটি দর্শকপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেন।
“দীর্ঘ পথে চলচ্চিত্রের মানুষের থেকে অনেক আঘাত পেয়েছি অনেক আঘাত পেয়েছি আবার ভালোবাসা, স্নেহ-আদর পেয়েছি। সবকিছু মিলিয়ে চলচ্চিত্রের দীর্ঘ সময়টা অনেক আনন্দের।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান, চিত্রনায়ক ফারুক, আলমগীর, পরিচালক সোহানুর রহমান সোহান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, খোরশেদ আলম খসরু, মালেক আফসারী, চিত্রনায়ক শাকিব খান, মিশা সওদাগরসহ আরও অনেকে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসে দেশের ৮০টির মতো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি। শাকিব খান ও মো. ইকবালের এসকে ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিতে শাকিবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন শাকিব-বুবলী জুটি।
এতে আরও অভিনয় করেন মিশা সওদাগর, সোহেল খান, সাদেক বাচ্চু, হাবিব খান, কাজী হায়াৎ।