আফসানা মিমির আবৃত্তির সঙ্গে ক্যাটওয়াক

কোনও সুর নয়, গান নয়, মাদল নয়, মূল আলো যার উপরে পড়লো, তার কণ্ঠে উচ্চারিত হল কিছু ছন্দমাখা শব্দ। তার সঙ্গেই শুরু হল ক্যাটওয়াক।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2020, 10:33 AM
Updated : 27 Jan 2020, 11:30 AM

আর যিনি আবৃত্তি করলেন, তিনি হলেন আফসানা মিমি।

সম্প্রতি ট্রেসেমি আয়োজিক একটি ফ্যাশন উইকে এমনই ভিন্নধর্মী উপস্থাপনায় পাওয়া গেল নাট্যব্যক্তিত্ব আফসানা মিমিকে।

পিনপতন নীরবতায় যখন দর্শকের সারি থেকে আফসানা মিমি আবৃত্তি শুরু করেন তখন তা ছিল একাধারে চমক, অপর দিকে নতুন কিছুও বটে।

এবারের এই ফ্যাশন উইকে নারীদের জন্য নতুন কিছু করার প্রয়াস থেকেই এই পরিকল্পনা মাথায় আসে বলে মূল গল্পটি জানান ইভেন্ট পরিকল্পনাকারীর হোতা রাশিদ খান।

ক্রিয়েটোর নির্বাহী রাশিদ খান বলেন, “ইভেন্টের পরিকল্পনার সময় হঠাৎই কবিতার ছন্দে হাঁটার বিষয়টা মাথায় আসে।”

কিন্তু এভাবে তো কবিতা হয় না।

তাই তিনি ভাবেন। এবং স্বতঃস্ফূর্তভাবে যখন এই শব্দগুলো একের পর এক চরে আসে তখনই তিনদিনের জন্য তিনটি থিমের কবিতা দাঁড়িয়ে যায়।

তিনদিন ব্যাপী ঘটে যাওয়া এই ফ্যাশন উইকে প্রথম দিন নারীর এগিয়ে চলা, দ্বিতীয় দিন নারীর উৎসব এবং তৃতীয় দিনে নারীর বিহঙ্গের মতো ঘুরতে যাওয়া- তাও আবার সমুদ্র সৈকতে- এই তিন বিষয়বস্তুতে তিনদিনের কবিতা সাজিয়েছিল পরিকল্পনা প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটো। আর কবিতাগুলো লিখেছেন রাশিদ খান নিজেই।

তিনদিনের প্রত্যেকদিনই কবিতা দিয়ে ক্যাটওয়াক শুরু হলেও ক্যাটওয়াক করেননি মডেলরা। প্রথমবারের মতো নয়জন বিভিন্ন পেশার নারী এই কবিতার ছন্দে- আক্ষরিক অর্থে নিজেদের মানিয়ে হেঁটেছেন মঞ্চে। যা ছিল অন্যতম চমক।

মঞ্চে হেঁটেছেন সংগীতশিল্পী জেফার, ফুটবলার মৌসুমী, অভিনয়শিল্পী ও উপস্থাপক নাবিলা, সংবাদপাঠক তরি, পাইলট মালিহা, নৃত্যশিল্পী হৃদি শেখ, অভিনয়শিল্পী সুনেহরা ও চিকিৎসক তানজিনা ইয়াসমিন। 

রাশিদ খান জানান, লাইভে এভাবে ক্যাটওয়াক বাংলাদেশে এই প্রথম। পরবর্তীকালে আরও অন্যরকমের এক্সপেরিমেন্ট করার ইচ্ছা অবশ্যই আছে।

আফসানা মিমির সংযুক্তি ব্যাপারে রাশিদ খান বলেন, ‘যখন কবিতার কথা ভাবা হয়েছে তখনিই একটু আদুরে, একটু চঞ্চলা, যার মুখে তুমি শুনলে মন আদরে মেখে যাবে- এমন একজনকে ভাবা হচ্ছিল। আমরা তখনই আফসানা মিমির কথা ভাবি।”

তিনি আরও যোগ করেন, “আফসানা মিমি একবারেই এই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন এবং এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন।”

প্রসঙ্গত, ট্রেসেমি বাংলাদেশ দির্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের ফ্যাশন জগতে পৃষ্ঠ পোষক হিসেবে কাজ করছে। এর আগে পরপর দুই বছর খাদি উৎসবে জড়িত থাকার পর এখন তারা বাংলাদেশ ফ্যাশন উইকের আয়োজকের ভূমিকায় আছে।

এইটি এই আয়োজনের দ্বিতীয় বছর হিসেবে উদযাপিত হলো।