‘তের’ পার করছে নকশীকাঁথা ব্যান্ড

প্রচলিত অর্থে ১৩ বা থার্টিনকে আনলাকি বলা হলেও নকশীকাঁথা ব্যান্ডের জন্য তা সব সময়ই সৌভাগ্য বয়ে এনেছে।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Jan 2020, 05:15 AM
Updated : 22 Jan 2020, 05:15 AM

২৫ জানুয়ারি সেই লাকি থার্টিন পূর্ণ করছে নকশীকাঁথা ব্যন্ডের। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের লোকগানকে বিশ্বের দরবারে এবং নানান দেশের লোকগানকে দেশের দর্শক- শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করে নকশীকাঁথা।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের প্রায় সব অঞ্চলের বহু লোকগান সংগ্রহ করে সেগুলো এ সময়ের উপযোগী করে মঞ্চ  ও টেলিভিশনে পরিবেশন করছেন এই ব্যান্ডের সদস্যরা।

২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ফোক ফেস্টে গান পরিবেশন করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে নকশীকাঁথা ব্যান্ড। এই ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী দেশের বিভিন্ন  অঞ্চলের লোকগান নিয়ে গত প্রায় ১৫ বছর থেকে গবেষণা করছেন।

ব্যান্ডের প্রথম অ্যালবাম ‘নজর রাখিস’ প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। ওই অ্যালবামের ‘ভোরের শিশির’, হাটের গোলমাল, নজর রাখিস, ভালোবাসার গান ও একশ বছর  শিরোনামে গানগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পায়। ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘নকশীকাঁথার গান’। এই অ্যালবামের নয়া বাড়ি, চোর, সাত আসমান, তুকে লিয়ে শিরোনামে গানগুলো দারুণ দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এরপর আরও অন্তত ২০টি নতুন গান কম্পোজিশন করেছে নকশীকাঁথা। রোহিঙ্গা সংকট, সীমান্ত উত্তেজনা, ফেলানী হত্যা, সড়ক দুর্ঘটনাসহ বেশ কিছু সংকট নিয়েও গান তৈরি করেছেন ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী। উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো- ভালোবাসার মালা, প্রেমনদীতে তুফান ভারী, বাংলা ভাষার দুর্গতি ইত্যাদি।

নকশীকাঁথা ব্যান্ডের বর্তমান লাইনআপ দল প্রধান ও ভোকাল-  সাজেদ ফাতেমী, অ্যাকুইস্টিক গিটার, রাবাব ও দোতারা-   জে আর সুমন, কাহন ও পারকেশন্স-  বুলবুল সাহা,  মেলোডিকা ও অ্যাকোর্ডিয়ান- রোমেল হাসান এবং বেইজ গিটারে  শামস।