এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিক্ষণ থিয়েটার হলে নাটকটির তৃতীয় প্রদশনী হবে।
নাসরিন মুস্তাফার রচনায় এটি নির্দেশনা দিয়েছেন আইরিন পারভীন লোপা।
নাটকের কাহিনীতে দেখা যাবে, এক বন্ধ ঘরে বন্দী দেখা পেয়েছিল এক বাঘের। মাটির নিচের বন্ধ ঘর, সেখানে বাঘের গর্জন শুনতে পায় সে, টের পায় অদৃশ্যে বাঘটার রাজকীয় চলন। ধাঁধা জাগে মনে, জানতে চায় বাঘ-রহস্যের সবটুকু।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রাষ্ট্রীয় সফরে বান্দরবন গিয়েছিলেন। তখন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর এক নেতা বঙ্গবন্ধুকে উপহার দিয়েছিলেন একটি বাঘের বাচ্চা, যা ঢাকা চিড়িয়াখানাকে দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহিদ হলেন বঙ্গবন্ধু আর তাঁর সেই বাঘটির ঠাঁই হয়েছিল ঢাকা চিড়িয়াখানার মাটির নিচের এক বদ্ধ কারাগারে। বছরের পর বছর অবর্ণনীয় কষ্ট সইতে হয়েছিল বাঘটিকে। কেননা, বাঘটি ছিল বঙ্গবন্ধুর বাঘ।
১৯৯০-৯১ সালের দিকে হাইকোর্টে রিট মামলা হয়েছিল বাঘটির মুক্তি চেয়ে আর সেই খবরটি প্রকাশিত হয়েছিল দৈনিক সংবাদ পত্রিকায়।
বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলার একদা চলমান প্রচেষ্টার সময়কালীন গল্প এটি।
বন্দী আর বাঘের গল্পটার শুরু তখন, যখন এই দেশে বঙ্গবন্ধুর নাম নেওয়া ছিল নিষিদ্ধ। আইন করে বন্ধ করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। ধ্বংস করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি, বঙ্গবন্ধুর সাথে সম্পর্কিত যা কিছু। লিখিত দলিল ধ্বংস হয়েছে দেদারসে, তাই সত্যিকারের বাঘটার মতোই দেখা মেলে না কাগজে কলমে অনেক কিছুরই। তবে বাঘটার গর্জন যেমন কাঁপিয়ে তুলেছিল বন্ধ কারাগার, একই ভাবে মৃত্যুঞ্জয়ী বঙ্গবন্ধু ফিরে এসেছেন আমাদের কাছে।