নাটকটির আরো একটি প্রদর্শনী কক্সবাজার থিয়েটার এর আমন্ত্রণে ১২ জানুয়ারি বিশ্বের বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত নগরী কক্সবাজার সংস্কৃতি কেন্দ্র মিলনায়তনে। নাটকটি রচনা করেছেন সমীর দাশ গুপ্ত নির্দেশনা দিয়েছেন অনন্ত হিরা। সমীর দাশগুপ্ত রচিত নাটকটিতে অভিনয় করেেছন- অনন্ত হিরা ও রওশন জান্নাত রুশনী, আলোক পরিকল্পনা ঠান্ডু রায়হান, ম পরিকল্পনা আলি আহম্মেদ মুকুল, আবহসংগীত পরিকল্পনা রামিজ রাজু, পোশাক পরিকল্পনা নূনা আফরোজ ও করিওগ্রাফি ইষ্টের সুমি এবং প্রযোজনা সমন্বয়কারী খোরশেদুল আলম।
এই মঞ্চ পরিবেশনায় যে গল্পটি ফুটে উঠেছে, তা অনেকটা এরকম।
তৃতীয় একজন নাটকের গল্প হচ্ছে সামীরের ব্যস্ততা এবং তুলির নিঃসঙ্গ একাকী জীবনের ভেতর তৃতীয় একজনের ঢুকে পড়ার গল্প। সেই তৃতীয় একজনের নাম বিবেক। সে আবার তুলির পূর্ব পরিচিত। এই তৃতীয় একজন তুলির সঙ্গে একসময় একই গুরুর কাছে নাচ শিখতো, তুলিকে খুবই পছন্দ করতো- তুলি ডক্টরেট করে বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষক হবে স্বপ্ন দেখতো এবং সেই তৃতীয় একজন তুলির নাচ ছেঁড়ে দেবার কারণে ভীষন ভাবে কষ্টও পেয়েছিল। সেই তৃতীয় একজন একদিন হঠাৎ করেই উপস্থিত হয় তুলির বাসায় সামীরের অনুপস্থিতিতে এবং তারপর থেকে প্রায় প্রতিনিয়তই আসতে থাকে। তুলির নিঃসঙ্গ একাকী গুমোট অন্ধকার জীবনে তৃতীয় একজন হঠাৎ করে উড়ে আসা একটা জোনাকী। অজানা অচেনা একজনের টেলিফোন বার্তার মাধ্যমে তুলির স্বামী সামীর সে কথা জানতে পেরে ছুটে যায় বাসায়। তৃতীয় একজনকে পায় না তবে তৃতীয় একজনের ফেলে রেখে যাওয়া একটি কোট আবিস্কার করে ড্রইং রুমের সোফার উপর থেকে। ভেঙ্গে যায় সামীরের এতদিনের বিশ্বাস, ভালবাসা, বন্ধন, নষ্ট হয়ে যায় সামীরের ভেতরের বিশ্বাস। শুরু হয় দ্বন্দ-সংঘাত-কলহ। নাটক এগিয়ে চলে নাটকীয় পরিনতির দিকে। মানুষতো মূলত একা, দুজন নিঃসঙ্গ একাকী মানুষের জীবনে তৃতীয় একজন মানুষের আবির্ভাবের ফলে সৃষ্ট এক তীব্র জটিল নাটকীয়তার নাটক ‘তৃতীয় একজন’।