মুক্তিযুদ্ধের গল্প নিয়ে তানভীর আহসান

নির্মাতা তানভীর আহসান তার ক্যারিয়ার শুরু করেন বিজ্ঞাপনেই ১২ বছর আগে হাফ স্টপ ডাউনে অমিতাভ রেজার সাথে। সেখান থেকে মাঝখানে ফ্রিফলে কিছুদিন কাজ করে আবার আয়নাবাজিতে কাজ করেন অমিতাভ রেজার সাথে। এখন ১২ বছর পর তিনি নিজের একটা প্রোডাকশান হাউস শুরু করেন, যার নাম ’ব্রিদিং স্পেস’।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2019, 12:51 PM
Updated : 15 Dec 2019, 12:51 PM

গ্লিটজের সঙ্গে আলাপে জানালেন তার বর্তমান কাজের ব্যস্ততা।

লেখক হতে হতে পরিচালক হয়ে উঠেন  তানভীর। করেছেন ফিল্ম এপ্রিসিয়েশন কোর্সও। সেখান থেকে হঠাৎই বিজ্ঞাপন নির্মান শুরু করেন। আর এভাবেই শুরু হলো আলাপ।

কেন পরিচালনা সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “এই পেশায় কাজ করার ভালো দিকটা হচ্ছে প্রত্যেকটা শুটিং-ই আসলে এক-একটা জার্নি। এই জার্নিতে আমরা অনেক মানুষের সাথে জানা আর হাজারো ঘটনার সাথে পরিচিত হতে ভালো লাগে। আর শুটিংটা আমার খুব পছন্দের কাজ। আমাকে সারাদিন শুটিং করতে দিলে আমি খুশি মনে শুটিং করতাম।”

একারণেই নিজের সাম্প্রতিক কাজ নিয়ে বেশ আনন্দিত তানভীর। বলেন, “ বিজয় দিবস নিয়ে নেসলের একটা কাজ করেছি, ১৬ই  ডিসেম্বর ঘিরে। যখন কিঙ্কর ভাই আর উশান ভাই প্রথমবার আমাকে স্ক্রিপ্টটা দেয় তখন থেকেই আমার এক্সাইটমেন্ট শুরু হয় এই গল্পটা নিয়ে । কারন এটা একটা ছেলের জার্নি, তার বাবার কাছে; তাঁর বাবা আসলে একজন অনেক বড় মানুষ এবং জার্নিটা আসলে বিষাদের একটা জার্নি কারন সে তাঁর বাবার মৃতদেহ দাফনের জন্য যাচ্ছে। ”

তিনি আরও যোগ করেন, “যেহেতু আমার ছবি ভালো লাগে – এর থেকে সুন্দর স্পেস আসলে গল্প বলার জন্য হতে পারেনা। খুঁজে পেয়েছিলাম তাহিরপুর, টেকেরঘাট। তাহিরপুরে ৭১-এ সামনা সামনি যুদ্ধ হয়। সঠিক সংখ্যাটা বলতে পারবনা, কিন্তু ওখানে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা কবরস্তানও  আছে।”

তানভীর জানান, একজন পরিচালক একটা সুন্দর গল্পের জন্য মুখিয়ে থাকে। প্রথমত, এই কাজটির চিত্রনাট্য যেমন চমৎকার, তেমনই আইডিয়াটা খুব সুন্দর ও সাধারণ ছিল। তৃতীয়ত, এটায় সুযোগ ছিল সুন্দর ছবি তৈরি করার।

সবশেষে নিজের অভিজ্ঞতা তিনি জানালেন নিজের বয়ানে। তিনি বলেন, “এই শুটে যিনি সিনেমেটগ্রাফার ছিলেন, সাদিক আহমেদ তাঁর কাজ আমি আগে স্ক্রিনে দেখেছিলাম। কিন্তু তাঁর সাথে প্রথমবার কাজ করেছি। এই কাজটি করতে যেয়ে আমার কথা হয় অনেক মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে। তাদের মুখে ৭১-এর গল্প শুনাটাও আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া।”