বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার আর্টস মিলনায়তনে ‘পিয়ারিং ইনটু দা সোল: হিলিং থ্রু মিউজিক’ শিরোনামে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিডিলিসেনার্স।
মানুষের দৈহিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি আত্মিক স্বাস্থ্যের উন্নয়নে মনোজগতে সুরের প্রভাব ও ব্যবহার নিয়ে আলোচনা হয় এতে।
সংগীতের মনস্তাত্ত্বিক দিক নিয়ে কথা বলার পাশাপাশি ছিল বিভিন্ন মেজাজের সংগীত পরিবেশনাও।
অনুষ্ঠানে কয়েকটি গান পরিবেশন করে সমসাময়িক কবি ও লোকগানের শিল্পী কফিল আহমেদ বলেন, “এদেশের মানুষের কান্না করবার জায়গা নেই, কিছু বলবার জায়গা নেই।
“তারপরেও কিছু মানুষ এই সবকিছুকে ছাপিয়ে মানুষের স্বার্থে, জীবনের স্বার্থে, মানুষের মনের স্বার্থে সংগীতের মাধ্যমে তৃপ্তি লাভ করতে চেষ্টা করে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সেলিম হোসেইন বলেন, “এই উপমহাদেশে আমরা অনেক কাল আগে থেকেই সংগীতকে একটি আধ্যাত্মিক জায়গা থেকে ব্যবহার করে আসছি।”
তিনি বলেন, “সংগীত মূলত একটি যোগাযোগ মাধ্যম। আমরা কী অনুভব করি, কী বলতে চাই- সব কিছুর বহিঃপ্রকাশ সংগীতের মাধ্যমে সম্ভব।
“যেখানে ভাষা দিয়ে অনেক কিছু প্রকাশ সম্ভব না, সেখানে সংগীত একটি অন্যতম কার্যকর মাধ্যম।”