গত বছরের ঘটনায় এই বছর করা ওই মামলায় সম্প্রতি অভিযোগপত্র দেওয়ার পর বুধবার জামিনের আবেদন নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম জিয়াউর রহমানের আদালতে হাজির হয়ে ওই মদের বিষয়ে নিজের ব্যাখ্যা ও দলিলাদি দাখিল করেন আসিফ।
এই সঙ্গীতশিল্পী বিচারককে বলেন, “আমার নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ গ্রহণ করার জন্য অনুমোদন আছে। আমার ঘাড়ের পেছনের দিকে পেইন হয়, সে কারণে এটা মাঝে মধ্যে গ্রহণ করতে হয়। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে।
“এই বিষয়ে আমি লাইসেন্স নিয়েছি। প্রতিবছর আমি সরকারকে ট্যাক্স দিই।”
আসামি পক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, ‘মাত্র’ চার বোতল মদ উদ্ধার হয়েছে। মেডিকেল গ্রাউন্ডে নির্দিষ্ট পরিমাণ মদ পানের সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আসামির ইনজুরি থাকায় সীমিত পরিমাণ মদ গ্রহণ করতে পারবেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই ফরিদ মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আসিফের আইনজীবী নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত মদপানের লাইসেন্সসহ বিভিন্ন চিকিৎসা সনদপত্র আদালতে দাখিল করেন।”
আসিফের আইনজীবীরা ঘটনার এক বছর পর মামলা দায়ের করা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি বলেন, অভিযোগপত্রেও ‘অনেক গরমিল’ হয়েছে।
গত বছরের ৫ জুন রাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় আসিফকে গ্রেপ্তার করা হয়। তখন আসিফের কার্যালয়ে চার বোতল টাকিলা পাওয়া যায়। ওই মদ পাওয়ার পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরে পাঠিয়েছিল সিআইডি।
এরপর লাইসেন্স ছাড়া বিদেশি মদ নিজের দখলে রাখায় আসিফের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৩ জুলাই তেজগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন সিআইডি পুলিশের সাইবার তদন্ত শাখার উপ-পরিদর্শক প্রশান্ত কুমার সিকদার।
ওই মামলায় গত ১৩ নভেম্বর আসিফের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির উপ-পরিদর্শক জামাল হোসেন।
অভিযোগপত্র গ্রহণ করে বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে আসিফ বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন।