‘রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র চলছে’

রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার বিরুদ্ধে যড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছে সংস্থার সভাপতি সঙ্গীত শিল্পী তপন মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক পীযূষ বড়ুয়া।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Nov 2019, 07:43 AM
Updated : 12 Nov 2019, 07:49 AM

সম্প্রতি তারা যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘কতিপয় কিছু শিল্পী গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। যার কারণে সংস্থার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।’

তপন মাহমুদ ও পীযূষ বড়ুয়ার সাক্ষর করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘১৯৮৮ সাল থেকে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থা অত্যন্ত সুনামের সাথে দেশে রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রচার-প্রসারে এবং সঙ্গীত শিল্পীদের আর্থিক কল্যাণে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সংস্থার অনুমোদিত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ১৫ দিনের নোটিশ দিয়ে দ্বি-বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে নতুন কমিটি করার বিধান থাকায় তা অনুসরণ করে ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে সংস্থার সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যদের গোপন মতামতের (গোপন ব্যালট) ভিত্তিতে আগামী দু’বছরের জন্য তপন মাহমুদ সভাপতি ও পীযূষ বড়ুয়া সাধারণ সম্পদক পদে নির্বাচিত হন।

নির্বাচন বিরোধী ২/১জন শিল্পীর প্ররোচনায় সংস্থার সুনাম নষ্ট করা ও নিজেদের হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যে দুঃখজনকভাবে অসত্য তথ্য দিয়ে সমাজসেবা দফতর থেকে কয়েকজন দলছুট শিল্পী (যাদের অধিকাংশই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ ও পরিচালনার সাথে যুক্ত ছিলেন) অত্যন্ত গোপনে সংস্থার নাম নিবন্ধন এবং সিগনেটরি পরিবর্তনের আবেদন তৈরি করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সংস্থা ও রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পীদের কল্যাণে গচ্ছিত অর্থ হস্তগত করার অপচেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু নিবন্ধন হবার আগেই সংস্থা নের্তৃত্ব বিষয়টি জানতে পেরে সঠিক তথ্য ও প্রমাণ দেয়ার পর বাংলাদেশ সরকারের সমাজসেবা অধিদফতর তাদের সে নিবন্ধন প্রক্রিয়া স্থগিত করে এ বিষয়ে অক্টোবরের ১৭ তারিখে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন, যা বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটিও বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পদককে অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে। তারপরেও সে মহলটি সংস্থার নাম তাদের পক্ষে নিবন্ধন করেছেন বলে দাবি করে শিল্পী এবং রবীন্দ্রানুরাগীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছেন।”

এই যৌথ বিবৃতিতে তপন মাহমুদ এবং পীযুষ বড়ুয়া ক্ষোভ, হতাশা এবং উষ্মা প্রকাশ করেন।