শিলার মাথায় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশের মুকুট

এই প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছেন আনিশা ইসলাম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ জেসিয়া ইসলাম।

গ্লিটজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2019, 04:09 AM
Updated : 24 Oct 2019, 11:57 AM

বুধবার রাতে বসুন্ধরা কনভেনশনের নবরাত্রী হলে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ ছিলেন মিস ইউনিভার্স (১৯৯৪) সুস্মিতা সেন। বিজয়ীর মাথায় তিনিই ৭৫০টি ডায়মন্ড খচিত প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের মুকুট পরিয়ে দেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে শিলার বাড়ি। চূড়ান্ত পর্বে ১০জনকে পেছনে ফেলে বিজয়ী হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞানের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী।

প্রতিযোগিতা চলার সময় সুস্মিতা সেনের এক প্রশ্নের উত্তরে শিলা বলেন, “আমার বাবা একজন সৈনিক, তিনি এই মুহূর্তে দেশের সীমানা পাহারা দিচ্ছেন।”

আর বিজয়ী হওয়ার পর একই রকম অনুভূতি জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, “আজ থেকে আমিই বাংলাদেশ। বাবার মতো আমিও দেশের জন্য কাজ করতে চাই।”

সুস্মিতা সেন মঞ্চে ওঠার আগে প্রতিযোগীদের প্রশ্ন করার সময় নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলেন, “আমি যখন মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলাম তখন ভালো মতো ইংরেজী বলতে পারতাম না। তাই বলবো ইচ্ছে থাকলে যার যার মাতৃভাষাতেই সব কিছু করা সম্ভব।”

তিনি আরও বলেন, “প্রায় দেড়শো’র বেশি দেশের প্রতিনিধিতের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করা সহজ কাজ নয়। আমি আশা করবো বাংলাদেশও এই ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকবে না।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বাণী নিয়ে উপস্থিত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে তিনি বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা সুন্দরী, বুদ্ধিমতী, অভিজাত, মেধাবী ও আত্মবিশ্বাসী তরুণীদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার প্রয়াসে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ঢাকায় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-এর আয়োজন করা হয়।

‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’য়ের চেয়ারম্যান রিজওয়ান বিন ফারুক বলেন, “মিস ইউনিভার্স’ প্রতিযোগিতার ৬৮তম আসরে শিলা বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন।”

আত্মবিশ্বাসী নারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিতে এবছর জুলাই মাসের শেষ দিকে বাছাই পর্বে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করার মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু হয়েছিল মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ-২০১৯ প্রতিযোগিতা। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সারাদেশ থেকে ১২ হাজারের অধিক অংশগ্রহণকারী নিবন্ধন করেন।

নিবন্ধনের পর থেকে তিন মাসে পর্যায়ক্রমে অডিশন রাউন্ড, গ্রুমিং, ফিল্মিং রাউন্ড ও বিভিন্ন ধাপ শেষে শুরু হয় মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।

একজন নারীর আত্মবিশ্বাসকে অগ্রাধিকার দিয়ে এবারের মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ প্রতিযোগিতার স্লোগান ছিল ‘আমার আত্মবিশ্বাস, আমার সৌন্দর্য’।

মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ, গত ৬৭ বছর ধরে চলা বিশ্বের বৃহত্তম বিউটি পেজেন্ট প্রতিযোগিতা মিস ইউনিভার্স–এর ফ্র্যাঞ্চাইজি। প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনালে’তে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী ও মিস ইউনিভার্স-১৯৯৪ খেতাব জয়ী সুস্মিতা সেন; কানিজ আলমাস, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পার্সোনা; তুতলী রহমান, সভাপতি, বাংলাদেশ হেরিটেইজ ক্রাফট; গায়ক ও অভিনেতা তাহসান খান; রুবাবা দৌলা, পালস হেলথ কেয়ার, প্রতিষ্ঠাতা; ফারজানাহ চৌধুরী, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড, ব্যবস্থাপনা পরিচালক; রফিকুল ইসলাম, ফ্লোরা ব্যাংক লিমিটেড, ব্যবস্থাপনা পরিচালক; ডা. জারীন দেলাওয়ার হুসেন, আতাহার আলী খান, প্রাক্তন ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার, অভিনেতা ফারুক এবং প্রাক্তন মিস ভেন্টুরা কাউন্টি ক্যালিফোর্নিয়া এবং জনসন কাউন্টি ইউএসএ।