রাজধানীর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের (এফডিসি) শিল্পী সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জায়েদ জানান, যাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তারা শিল্পী ছিলেন না। পেশায় মাছ বিক্রেতা, তরকারি বিক্রেতারা শিল্পী সমিতির সদস্য ছিলেন।
“কোনো কারণে তারা শিল্পী সমিতির সদস্যপদ নিয়ে নিয়েছিলেন। এটা শিল্পী সমিতির জন্য লজ্জাজনক ও বিব্রতকর। শিল্পী সমিতির নাম ভাঙিয়ে তারা নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন; আইনশৃংখলা বাহিনীর কর্মকর্তারা আমাদের ফোন করে জানান। তারা তো আসলে শিল্পী না।”
গত নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৬২৪। এবার সেখান থেকে প্রায় ১৮০ জনের ভোটাধিকার খর্ব করে শুধু সহযোগী সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
ভোটাধিকার হারানোর পর অনেক শিল্পী অভিযোগ করেন, অশিল্পীদের বাদ দিতে গিয়ে শিল্পীদেরও কেন বাদ দেওয়া হলো?
বিষয়টি স্বীকার করে মিশা সওদাগর বলেন, “চাল বাছতে গিয়ে কিছু ভালো চালও বাদ পড়ে গেছে।…সমিতির ভাবমুর্তি রক্ষার জন্য উপদেষ্টা পরিষদের উপদেশে মিশা-জায়েদ প্যানেল এই সাহসী কাজটি করেছে। আমাদের কমিটির সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল।”
এবার নির্বাচনে মিশা-জায়েদ প্যানেলে বিপরীতে মৌসুমী-ডি এ তায়েব প্যানেল করার কথা থাকলেও শেষমুহূর্তে নিজের প্যানেল ভেস্তে যাওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ান মৌসুমী।
সভাপতি পদে মিশা-মৌসুমী ছাড়া সাধারণ সম্পাদক পদে ইলিয়াস কোবরা ও জায়েদ খান। দুটি সহসভাপতি পদে ডিপজল, রুবেল ও নানা শাহ। সহসাধারণ সম্পাদক পদে আরমান ও সাংকোপাঞ্জা, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে নূর মোহাম্মদ খালেদ আহমেদ ও মামুনুন ইমন। সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন ও ডন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
১১টি কার্যকরী সদস্য পদের বিপরীতে লড়বেন ১৪ জন; তারা হলেন-অঞ্জনা সুলতানা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী, নাসরিন, বাপ্পারাজ, মারুফ আকিব, রোজিনা, রোঞ্জিতা ও শামীম খান (চিকন আলী)।