শেখ হাসিনার জীবনের বেদনাঘন অধ্যায় নিয়ে ৭০ মিনিটের এই চলচ্চিত্রটি একাদশ ডিএমজেড আন্তর্জাতিক ডকুমেন্টারি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে শনিবার ও সোমবারে দেখানো হয়।
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে সিউলে বাস করা কূটনীতিকদের জন্য রোববারও ডকুফিল্মটি প্রদর্শিত হয় বলে জানাচ্ছে দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
চলচ্চিত্র উৎসবে আয়োজকদের বিতরণ করা ফ্লাইয়ারে বলা হয়েছে, ইতিহাসের সেই সময়কে পর্দায় তুলে ধরার সাথে সাথে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শেখ হাসিনাকে অনেক কাছে থেকে দেখা গেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
১৫ অগাস্ট ধানমণ্ডিতে নিজ বাস ভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুন হওয়ার সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা দিয়েই চলচ্চিত্রটির শুরু।
তারপর একে একে উঠে এসেছে বাবা-মাসহ স্বজন হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে শেখ হাসিনার রাজনীতিক অঙ্গনে বিশেষ জায়গা করে নেওয়ার কথা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে তার বোন শেখ রেহানার জবানিতে নির্মিত হয়েছে এই প্রামাণ্যচিত্র।
বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এই চলচ্চিত্র উৎসবে উপস্থিত ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন নির্মাতা রেজাউর রহমান খান পিপলু, নবনীতা সেন এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম।
উৎসবের প্রদর্শনের পর একটি বিশেষ আলোচনা সভায় আয়োজিত হয় সেখানে।
সিআরআইর ব্যানারে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ও নসরুল হামিদ বিপু।
রেজাউর রহমান খান পিপলুর পরিচালনায় নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন দেবজ্যোতি মিস্ত্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন। .
চলচ্চিত্রটি সারাদেশে মুক্তি পায় ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর।