২ সেপ্টেম্বর থেকে দূরদর্শন ডিটিএইচ-ডিডি ফ্রি ডিশের মাধ্যমে ভারতে বিটিভি ওয়ার্ল্ডের সম্প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সম্প্রচার শুরুর ২০ দিন পর টিভি চ্যানেলটির মহাপরিচালক এস. এম. হারুন-অর-রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, ভারতে বিটিভির বেশিরভাগ দর্শক প্রবীণ। তারা পুরানো সিরিয়ালগুলো খুঁজছেন। ‘কোথাও কেউ নেই’সহ বেশ কয়েকটি পুরানো সিরিয়াল আগ্রহ নিয়ে দেখছেন দর্শকরা। ‘যদি কিছু মনে না করেন’সহ বেশ কয়েকটি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানও দেখছেন।
হারুন বলেন, “নির্দিষ্ট স্লটে পুরানো সিরিয়ালগুলো আমরা প্রচার করছি। বিশেষ করে ‘কোথাও কেউ নেই’ ও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘যদি কিছু মনে না করেন’ ভারতের দর্শকদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।”
আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে বিটিভির সম্প্রচার শুরুর আগে নব্বইয়ের দশকে আসাম-ত্রিপুরা সীমান্ত এলাকার দর্শকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল ‘আয়োময়’, ‘সংশপ্তক’, ‘কোথাও কেউ নেই’।
এবার নতুন উদ্যমে ডিডি ফ্রি ডিশের মাধ্যমে ভারতের তিন কোটি গ্রাহকের ড্রয়িংরুমে প্রবেশ করেছে বিটিভি। ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের দর্শকদের কথা মাথায় রেখে পুরানো সিরিয়ালগুলো নিয়মিত সম্প্রচারের উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা বিটিভির।
এছাড়াও ভারতীয় দর্শকরা বিটিভির ফোক গান, নাচের অনুষ্ঠান, টিভি নাটকও পছন্দ করছেন বলে জানান তিনি।
“গল্প নয় সত্যি’, ‘উদ্ভাবকের দেশে’, ‘জানতে চাই’সহ সাম্প্রতিক সময়ে ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানগুলো তারা পছন্দ করছেন।”
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতে বিটিভির দর্শকপ্রিয়তা বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করলেন হারুন।
‘এখনও বিটিভি দেখিনি’
মহাপরিচালক হারুন-অর-রশিদ ভারতে বিটিভির ‘আশাব্যঞ্জক সাড়ার’ কথা বললেও কলকাতার দুই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় ও পায়েল মুখার্জি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, তারা এখনও বিটিভি দেখেননি।
সাউথ কলকাতার বাসিন্দা পায়েল জানালেন, তিনি ডিডি ফ্রি ডিশের গ্রাহক নন; ফলে এখনও বিটিভি দেখা হয়নি তার।
তবে তিনি বিটিভি দেখতে বেশ আগ্রহী বলে জানান বাংলাদেশে ‘গণ্ডি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এ অভিনেত্রী।