সেক্রেড গেমস দিয়ে অন্তর্জাল জয় করা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি র্যাপারও হয়ে গেছেন এরমধ্যে। “বলে চুড়িয়া” সিনেমাটির মাধ্যমে সরাসরি র্যাপ গায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি। এই সিনেমাটি তার ভাই, শামস নওয়াব সিদ্দিকির পরিচালনায় নির্মিতব্য প্রথম ছবি।
নওয়াজ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি গায়ক নই একদম। কিন্তু র্যাপ করার সুযোগটা ছাড়লাম না এবার।”
পরিচালকের অনুরোধে র্যাপটি করার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ আমার গান করার ক্ষমতা আছে বলে আমি মনে করি না। গান যে গাইতে চাই- এমনও নয়। কিন্তু পরিচালক পরে আমাকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছেন যে- এই র্যাপটির জন্য আমার কণ্ঠ মানানসই। তাই এটি করা।”
বলিউডে চলমান “র্যাপ-বাতাস” গায়ে লাগিয়েছেন অক্ষয় কুমারও। হাউজফুল ৪-এ থাকবে তার কণ্ঠে একটি র্যাপ সঙ্গীত।
হৃত্বিক রোশান, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, আলিয়া ভাট, এমন কী সালমান খান- অনেক তারকাই গানের খাতায় নাম লেখালেও র্যাপ নিয়ে মাথা ঘামাননি। জয়া আখতারের “গালিবয়” এবং সেখানে রনবীর সিং’য়ের অনবদ্য র্যাপ পরিবেশনা বলিউডে র্যাপকে রীতিমত ট্রেন্ডে পরিণত করেছে।
“গালিবয়” সিনেমাটি নাভেদ শেখ, যার র্যাপার নাম “নায়েজি”, তার সত্যি জীবনের ঘটনা।
ফেব্রুয়ারিতে সিনেমাটির রিলিজের পর হৈ চৈ পড়ে যায় চারিদিকে। র্যাপকে মূলধারা সংস্কৃতির অংশ হিসেবেও স্বীকৃতি জানাতে অনুরোধ করছেন রাফতারের মতন প্রতিষ্ঠিত র্যাপাররা।
র্যাপ যে এই প্রথম বলিউডে এলো, তা নয়। অভিষেক বচ্চন “ব্লাফ মাস্টার”, অমিতাভ বচ্চন “আলাদিন” সিনেমায় র্যাপ করেছিলেন। বাবা সায়গল একসময়ের জনপ্রিয় র্যাপ তারকা ছিলেন ভারতের। সেই ধারাবাহিকতায় এখন আবার র্যাপের দিকে ঝুঁকছেন অনেকেই। নওয়াজউদ্দিন তাদেরই একজন।