দেশহারা মানুষের বেদনায় ‘পুলসিরাত’

মঞ্চে এলো নাট্যদল প্রাচ্যনাট নতুন নাট্যপ্রযোজনা ‘পুলসিরাত’। বাংলাদেশ মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহীম মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টায়।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Sept 2019, 12:45 PM
Updated : 13 Sept 2019, 12:45 PM

ফিলিস্তিনি লেখক ঘাসান কানাফানির উপন্যাস ‘ম্যান ইন দ্য সান’ এর বাংলা অনুবাদ থেকে পুলসিরাত-এর নাট্যরূপ দেয়া হয়েছে। নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। উপন্যাসটির বাংলা অনুবাদ করেছেন মাসুমুল আলম এবং নাট্যরূপ দিয়েছেন মনিরুল ইসলাম রুবেল।

আগস্ট মাসের প্রচণ্ড গরমে, রোদে পুড়ে মরু ভূমির পথে লরিটি এগিয়ে যায়। তিনটি হতভাগ্য ভাগ্যবিড়ম্বিত জীবন ছুটে চলে স্বপ্নময় এক নতুন স্বচ্ছল জীবনের প্রত্যাশায়। সূর্যের বিরামহীন তেজ মাথায় নিয়ে, তপ্ত মরুর বালুতে পা পুড়িয়ে আর মগজে নতুন জীবনের উত্তপ্ত বাসনায় বয়ে চলে তাদের জীবন। সে জীবনেরও হয়তো মনে হতে থাকে এই পথ যেন সেই ‘পুলসিরাত’।

নাটকটি মঞ্চে আনা প্রসঙ্গে নির্দেশক তৌফিকুল ইসলাম ইমন বলেন, “বইটা যখন পরি তখনই ভালো লেগে যায়। লেখক কানাফানি নিজেই একজন দেশহারা লোক। প্যালেস্টাইন থেকে উনি লেবানন গেছেন উদ্বাস্তু হিসেবে, ওখান থেকে সিরিয়া গেছেন। উদ্বাস্তু শিবিরে থেকে ওখানে বাচ্চাদের জন্য কাজ করেছেন। উনি যখন একটা উপন্যাস লেখেন এরকম মানুষগুলোকে নিয়ে যাদের আসলে দেশ নাই, দেশহারা, তখন ওটা মানুষকে অনেক বেশি স্পর্শ করে।”

নাটকটি সময়ের সঙ্গে একেবারেই প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, “রিফিউজি সমস্যাটা পৃথিবীতে এখন একটা কমন সমস্যা। সারা পৃথিবীতেই উদ্বাস্তু মানুষ আছে। সেটা যেমন বাংলাদেশে রোহিঙ্গা আছে, তেমনি বাংলাদেশের মানুষও যখন মালয়শিয়া যায়, সমুদ্রে ডুবে মরে, সিরিয়া, ইয়েমেনেও একই রকম। হয়তো নাটকের গল্পটা ফিলিস্তিনের প্রেক্ষাপটের। কিন্তু দেশহারা মানুষের বেদনাটা একইরকম।”

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন-আজাদ আবুল কালাম, শাহরিয়ার ফেরদৌস সজীব, সাইফুল জার্নাল, মিতুল রহমান, জগন্ময় পাল, মনিরুল ইসলাম রুবেল, চেতনা রহমান ভাষা, তানজিকুন, শামীম শ্রাবণ, তৃপ্তি প্রমুখ।

নাটকটির সেট ডিজাইন করেছেন শাহীনূর রহমান, আলো-বাবর খাদেমী, শব্দ ও সঙ্গীত-নীল কামরুল। পোশাক-বিলকিস জাহান জবা।