“একটা সময় আমাদের দেশে চলচ্চিত্র শিল্প ছিল রমরমা। পশ্চিমবঙ্গে তখন সিনেমা কম হতো। এখন পরিস্থিতি উল্টো। আশা করি দুই দেশের এমন উদ্যোগে চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরবে। ”-সংবাদ সম্মেলনের অতিথি হয়ে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন চিত্রনায়ক আলমগীর।
এ সময় ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশের চলচ্চিত্র শিল্পের খ্যাতিমান শিল্পী, নায়ক-নায়িকা ও সংগঠকরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়া ছবিগুলো থেকে এসব বিভাগে পুরস্কৃত করা হবে। পপুলার, টেকনিক্যাল ও রিজিওনাল- এই তিন ক্যাটাগরিতে মোট ২৪টি বিভাগে পুরস্কার দেওয়া হবে।
এতে বাংলাদেশ থেকে জুরি বোর্ডের সদস্য হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন আলমগীর, সারাহ বেগম কবরী, ইমদাদুল হক মিলন, খোরশেদ আলম খসরু ও নির্মাতা হাসিবুর রেজা কল্লোল।
এর আগে গত ২৮ অগাস্ট কলকাতায় এক সংবাদ সম্মেলন করে ‘ফেডারেশন অব ফিল্ম ইন্ডিয়া’ ভারতের পক্ষ থেকে জুরিদের নাম ঘোষণা করে। তারা হলেন, চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ, নির্মাতা-অভিনেতা ব্রাতাইয়া বসু, চলচ্চিত্র সাংবাদিক-সমালোচক গৌতম ভট্টাচার্য, চলচ্চিত্র প্রযোজক অঞ্জন বোস ও অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী।
উৎসবটি প্রসঙ্গে ফিল্ম ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার প্রেসিডেন্ট ফেরদৌসুল হাসান উৎসবটি প্রসঙ্গে গ্লিটজকে বলেন, “ফেডারেশনের উদ্দেশ্য বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি এবং সেই দেশে ভারতের ছবির প্রচার করা। এরকম একটা পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেখানে দু দেশের ছবির ব্যবসা করতে পারে। বাংলাসহ ভারতীয় ছবি বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশে বেশ জনপ্রিয়। কিন্তু সেখানে আমাদের ছবি রিলিজ করানোর উপযুক্ত পরিকাঠামো নেই।”
সংবাদ সম্মেলনে সারাহ বেগম কবরী বলেন, ‘প্রথমেই এই উদ্যোগ'কে স্বাগত জানাই। আমি এটাকে অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রাম হিসেবে নয়, এটাকে আমি একটা ফেস্টিভ্যাল হিসেবে দেখছি। যা চলচ্চিত্রের জন্য খুবই ভালো। এখানে সবার সাথে আলাপ পরিচয় হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। আমি এই উদ্যোগের জন্য শুভ কামনা জানাচ্ছি।’
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হবে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার নবরাত্রি হল ৪ এ।