নতুনরূপে এলআরবিকে নিয়ে স্টেজ পারফর্মের জন্য প্রতিনিয়ত চর্চা করছেন তারা। এলআরবির বর্তমান ব্যান্ডের ভোকাল হিসেবে মিজান জানালেন, স্টেজে ওঠার জন্য মোটামুটি প্রস্তুত এখন তারা।
“এলআরবি সারা বাংলাদেশের মানুষের প্রিয় ব্যান্ড। এখানে আমি অতিথি হয়ে আপাতত কাজ করছি। আমারতো ‘মহাকাব্য’ আছেই। বাচ্চু ভাই তো নাই। ব্যান্ডটাকে তো টিকিয়ে রাখতে হবে। ব্যান্ডটা বেঁচে থাক।”
উল্লেখ্য, ওয়ারফেইজ থেকে বের হয়ে নিজের ব্যান্ড ‘মহাকাব্য’ নিয়েই ছিলেন তিনি। এখন এলআরবিকে নিয়ে নতুন সংগ্রামে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন।
সম্প্রতি গানবাংলা টেলিভিশনে ‘উইন্ড অব চেঞ্জ’-এ আজম খানের জনপ্রিয় গান ‘পাপড়ি’ কাভার করে দারুণ প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। যদিও তখন জানতেন না আইয়ুব বাচ্চুর গানগুলোকেও তারই কণ্ঠে তুলে ধরতে হবে।
নানা নাটকিয়তার পর নতুনরূপে এলআরবি’র এই যাত্রায় শ্রোতারা কতটুকু পাশে থাকবেন? ব্যান্ডের মূল ভোকাল সরে গেলে ব্যান্ডটি কি আগের মতো জনপ্রিয় অবস্থানে থাকতে পারে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে মিজান বলেন, “আসলে এটা যিনি গাইবেন তার উপর নির্ভর করে। আমি চেষ্টা করবো বাচ্চু ভাইর গানগুলো আমি যখন গাইবো তখন শতভাগ দিয়ে গাইতে। শ্রোতাদের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবো। এখন এ বিষয়টা আসলে পুরোপুরিই নির্ভর করছে শ্রোতাদের উপর। শ্রোতারা যদি গ্রহণ করে নিশ্চয়ই ব্যান্ড আরও অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারে।”
মিজান জানান, মগবাজারের একটি স্টুডিওতে নিয়মিতই প্র্যাক্টিস করছেন তারা। যে কোন সময় স্টেজে উঠতে প্রস্তুত তারা। আপাতত পুরনো গানগুলোই গাইবেন তারা। শ্রোতাগ্রহণযোগ্যতা মিললেই নতুন গানের দিকে ঝুঁকবেন তারা।
যার গান শুনে ঢাকায় আসা, ব্যান্ডের সঙ্গে জড়ানো। তারই ব্যান্ডের গান করার দ্বায়িত্ব এখন! বিষয়টাই অন্যরকম উল্লেখ করে মিজান বললেন, “উনি তো আমার আইকন ছিলেন। ওনার গান শুনে বড় হয়েছি। এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। এতো ভালোলাগর মতো একটা বিষয়। এটা বোঝানো যাবে না।”
তবে, এলআরবি’র বাইরে নিজের ‘মহাকাব্য’ ব্যান্ডের নতুন একটি গান রেকর্ড সম্পন্ন হলো রোববার। মিজান জানালেন, গানটি প্রকাশিত হবে শিগগিরই।