‘বিক্ষোভ’র শুটিংয়ে যোগ দিচ্ছেন কবে?
কলকাতায় ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুটিং শুরু হচ্ছে। পরিচালক রনি ও প্রযোজক সেলিম খান ইন্ডিয়ায় আছেন। টানা কয়েকদিন শুটিং চলবে; শুরু থেকেই শুটিংয়ে থাকছি আমি। সঙ্গে বাকি সহশিল্পীরাও থাকবেন।
চিত্রনাট্য হাতে পেয়েছেন?
পরিচালক পুরো গল্পটি শুনিয়েছেন; হোয়াটআপে ছবির গল্পও পাঠিয়েছেন। শুটিংয়ের আগেই চিত্রনাট্যের হার্ডকপি হাতে পাবো।
আপনার চরিত্র কী?
স্কুল শিক্ষিকা; নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সঙ্গে সেই শিক্ষিকা কীভাবে যুক্ত হলেন সেই গল্পই উঠে আসবে চলচ্চিত্রে।
ছবির গল্প শোনার পর আলাদাভাবে চরিত্রটি বুঝিয়ে নিয়েছি পরিচালকের কাছ থেকে। আমি মনে করি, কোনো চরিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে চাইলে সবার আগে সেই চরিত্রকে ভালোবাসতে হবে। ছোটবেলায় টিচার-টিচার খেলতাম আমরা; অনেক টিচারদের দেখে দেখেই বেড়ে উঠেছি। তাদের যেভাবে দেখেছি সেভাবেই নিজেকে প্রস্তুত করার চেষ্টা করছি। ক্যারিয়ারের প্রথমবারের মতো কোনো স্কুল শিক্ষিকার চরিত্রে অভিনয় করছি; ফলে উত্তেজনাটা একটু বেশিই।
অনেক চলচ্চিত্রে গ্লামারস নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন; এবার স্কুল শিক্ষিকার চরিত্রে…
সত্যি বলতে আমি নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবেই দেখি, নায়িকা নয়। আমি অভিনেত্রী হতে চেয়েছি; দর্শকরা ভালোবেসে আমাকে নায়িকা বানিয়েছে। পছন্দের চরিত্র যে ধরনেরই হোক না কেন আমি করি। চরিত্রটা আমার মনে ধরেছে সেকারণেই করছি।
ইদানীং কলকাতার অনেক অভিনয়শিল্পী ঢাকার চলচ্চিত্রে নিয়মিত হচ্ছে; আপনার পরিকল্পনা কী?
আপাতত ‘বিক্ষোভ’ করছি। এটা করতে থাকি; পরে ভালো কোনো চিত্রনাট্য পেলে অবশ্যই বাংলাদেশের চলচ্চিত্র করব। বাংলাদেশের মানুষ আমাকে খুব ভালোবাসে। তাদের জন্যই ভালো ভালো কিছু কাজের সঙ্গে আমি যুক্ত হতে চাই।
ঢাকার চলচ্চিত্রে আপনার কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
‘যদি একদিন’ করতে গিয়ে দীর্ঘদিন শুটিং করেছি বাংলাদেশে। কক্সবাজার যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছা ছিল; সেখানেও শুটিং করেছি। ঢাকার মানুষ সত্যি খুবই আন্তরিক। অভিনয় করাটাই আমার কাজ; আর কাজ করতে গিয়ে মানুষের আন্তরিকতা পেলে আনন্দে মনটা ভরে যায়।
মোস্তফা কামাল রাজের সঙ্গে কাজ করেছি; ওর কথায় বলব। এখন ও খুব ব্যস্ত; সেকারণে খুব একটা কথাবার্তা হয় না। আরেকজন আছে; তাহসান। ‘যদি একদিন’ চলচ্চিত্রে একসঙ্গে কাজের আগেই ওনার ফ্যান ছিলাম; ওনার অনেক গান এখনও আমার মোবাইলে আছে। তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা মনে রাখার মতো।
টালিগঞ্জ আর ঢালিউডের শুটিয়ে উল্লেখ করার মতো কোনো পার্থক্য দেখেছেন?
আলাদা করে সেই রকম কোনো পার্থক্য চোখে পড়েনি। চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন কাটিয়েছি; সময়গুলো খুব ভালো কেটেছে। বাংলাদেশের ছবি এখন অনেক উন্নতি করেছে; সঙ্গে কলকাতার চলচ্চিত্রর উন্নতি ঘটছে।
দর্শক হিসেবে বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্র আপনি দেখেছেন?
বাংলাদেশে এখন খুব ভালো ভালো চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রটি অনেক পপুলার হয়েছিল; ছবিটি আমিও দেখেছি।
‘বিক্ষোভ’ ছাড়া আর কয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন?
কলকাতার ‘হুল্লোড়’ ‘টেকো’ ‘উড়ান’ নামে তিনটি চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছি; ছবিগুলো মুক্তির অপেক্ষায় আছে।