ঈদের পর সপ্তাহ গড়ালেও কাঙিক্ষত ব্যবসা না দেখে হতাশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ গ্লিটজকে বলেন, “হলে দর্শক নেই। দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে, কিন্তু কোনো শো'ই এখন পর্যন্ত হাউজফুল যায়নি। এটা খুবই খারাপ খবর আমাদের জন্য।”
এবার সারাদেশে ১৫৪টি ও ঢাকার ২১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’। অন্যদিকে সারাদেশে ৫৩টি ও ঢাকার ৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় রাজা চন্দর ‘বেপরোয়া’।
চলচ্চিত্র পাড়ায় কথা আছে, শাকিব খানের ছবি মুক্তি মানেই ‘হল মালিকদের ঈদের খুশি’।
প্রতি ঈদেই মুক্তি পাচ্ছে এই চিত্রনায়কের ছবি, ব্যবসা সফলও হচ্ছে। কিন্তু এই ঈদে তিনিও যেন কিছুটা ম্রিয়মান।
‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ তে শাকিবের পর্দাসঙ্গী বুবলি। তবে দুজনের ‘কেমিস্ট্রি’ এবার দর্শকদের মনে ধরেনি বলে প্রদর্শকদের ধারণা।
অন্য ছবি ‘বেপরোয়া’য় চিত্রনায়িকা ববির সঙ্গে ছিলেন রোশন। ভারতীয় নির্মাতা রাজা চন্দও পারেননি ছবিটি তুলতে।
প্রেক্ষাগৃহ মালিকদের নেতা নওশাদ বলেন, “মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ চলচ্চিত্রটিতে পুরোপুরি বাণিজ্যিক স্বাদ পায়নি দর্শক। শুনেছি তাদের আন্তর্জাতিক উৎসব নিয়ে ভাবনা আছে। তারই প্রতিফলন ঘটেছে ছবিতে। প্রথম দিকেই নায়িকার (বুবলি) ধর্ষণের বিষয়টিও দর্শক নিতে পারেনি বলে শুনেছি।
“অন্যদিকে, ‘বেপরোয়া’ ছবিটিতে নায়কের অভিনয়ের প্রশংসা শুনেছি। সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে বছর দু’য়েক আগে ছবিটি দেখেছি। খুব ভালো ছবি। তখন যদি ছবিটা মুক্তি পেতো তাহলে বেশ ভালো করতো। যথাসময়ে মুক্তি না পাওয়ায় এখন মার খাচ্ছে।”
হলে দর্শক না থাকার পেছনে আবহাওয়াও কিছুটা দায়ী মনে করছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
তবে নওশাদ বলেন, “আমি বরাবরই বলে আসছি, ছবির সাফল্যের জন্য লোকেশন, নির্মাণ খুব গুরুত্বপূর্ণ। দর্শক এখন খুব বুদ্ধিমান। বিনোদনের ঘাটতি থাকলে তারা ছবি নেবে কেন?”