সানজারিকে অ্যাসিড মিলার নির্দেশে, দাবি জনের

মিলা ইসলামের সাবেক দেহরক্ষী কিম জন পিটার হালদারকে উদ্ধৃত করে পুলিশ বলেছে, এই কণ্ঠশিল্পীর নির্দেশেই তার সাবেক স্বামী পারভেজ সানজারিকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়েছিলেন জন।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 July 2019, 01:52 PM
Updated : 8 July 2019, 01:52 PM

বৈমানিক সানজারির বাবার করা মামলায় হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে জন এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির এসআই নাসির উদ্দিন।

গ্রেপ্তার জনকে ডিবির জিজ্ঞাসাবাদের পর রোববার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঠানো হয়। এরপর হাকিম তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ওই আদালতে পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শওকত আকবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, “কণ্ঠশিল্পী মিলার নির্দেশে কিম এ অপকর্ম করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। রিমান্ড ফেরতের প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা  হয়েছে।”

একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সের বৈমানিক পারভেজ সানজারির সঙ্গে মিলার বিয়ে হয়েছিল ২০১৭ সালের ১২ মে। যৌতুকের জন্য মারধরের অভিযোগে ওই বছর ৫ অক্টোবর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।

তদন্ত শেষে পুলিশ সে মামলায় সানজারির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলে ২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে বিচার শুরু করে আদালত।

ওই মামলা চলা এবং সানজারির বিরুদ্ধে অন্য নারীর সম্পর্কের অভিযোগ মিলা তোলার মধ্যেই গত ৬ জুন রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় আরেকটি মামলা করেন সানজারির বাবা এস এম নাসির উদ্দিন। সানজারির গায়ে অ্যাসিড হামলার অভিযোগে মিলা ও তার সহকারী জনকে আসামি করা হয় ওই মামলায়।

মিলা দাবি করে আসছিলেন, তাকে ফাঁসাতে সানজারির পরিকল্পনায় জন ওই ঘটনা সাজিয়েছে।

মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাসির বলেন, হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে সানজারির গায়ে অ্যাসিড হামলার কথা স্বীকার করলেও আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি জন।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তিন দিনের রিমান্ডে কিম বলেছে, গত ২৫ মে বিকেলে মিলা কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, ‘সানজারি আমার জীবনটা নষ্ট করেছে, সানজারিকে তুই তো কিছু করতে পারবি না, যা করার আমি নিজেই করব’। তখন আমি মিলা আপুকে বলি যে, আমি কিছু একটা করবই।”

তখনই অ্যাসিড ছোড়ার পরিকল্পনা করেন দাবি করে জন ডিবিকে বলেন, “তখন আপু বলেন, ‘পারলে কিছু করে দেখা, তারপর আসিস’। তখন আমি চিন্তা করি, সানজারি মিলা আপুর জীবন নষ্ট করেছে, তার জীবনও নষ্ট করব।”

এসআই নাসির বলেন, ২৫ মে সন্ধ্যায় এসিড কেনার পর দুই দিন সানজারির বাড়ির সামনে অপেক্ষা করেও তাকে না পাওয়ার পর ২ জুন বিকালে সুযোগ পেয়ে তাকে এসিড মেরে দৌড়ে পালিয়ে যান বলে জন স্বীকার করেছেন।

কিম বলেন, এরপর মিলাই তাকে লুকিয়ে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন।

অ্যাসিড নিক্ষেপের এই মামলায় মিলা গত ১ জুলাই উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের আগাম জামিন নিয়েছেন।