২৪ জুন সন্ধ্যা ৬টায় একাডেমির জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘স্মৃতি সত্তা ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, এমপি।
উদ্বোধনী দিনে অমর সুরস্রষ্টা শচীন দেব বর্মণের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আলোচনা, ভিডিও ও চিত্র প্রদর্শন এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ অধ্যাপক ড. আ ব ম নূরুল আনোয়ার, নাট্য সমালোচক অধ্যাপক আবদুস সেলিম, চিত্রশিল্পী জামাল আহমেদ, সঙ্গীতশিল্পী কিরণ চন্দ্র রায়, আলোকচিত্র শিল্পী পাভেল রহমান, নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান এবং আলোকচিত্রী মুনিরা মোরশেদ মুন্নী।
অনুষ্ঠানে কে এম খালিদ বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ৪৫ জন প্রয়াত বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের স্মরণে অনুষ্ঠান আয়োজন করছে। কবি-শিল্পী-সাহিত্যিকেরা সমাজের গুণীজন, তাঁরা আলোর বার্তাবাহক। ভবিষ্যতে সংগীতশিল্পী, সুরকার, গীতিকার, নাট্যকার, অভিনয়শিল্পী, নৃত্যশিল্পী, আবৃত্তিকারসহ সংস্কৃতির সব শাখার বরেণ্য ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিপূর্বক এ সংখ্যা এক শতে উন্নীত করা হবে।”
স্মরণ অনুষ্ঠানের জন্য শিল্পকলা নির্বাচিত ৪৫জন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা হলেন- জহির রায়হান, মুনীর চৌধুরী, শচীন দেব বর্মন, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, গুরুসদয় দত্ত, আবদুল লতিফ, আবদুল আলীম, আলতাফ মাহমুদ, কবিয়াল বিজয় সরকার, রাধারমন দত্ত, কবিয়াল রমেশ শীল, কবি কায়কোবাদ, বুলবুল চৌধুরী, কমল দাশগুপ্ত, রজনীকান্ত সেন, দ্বিজেন্দ্র লাল রায়, অতুল প্রসাদ সেন, আব্বাস উদ্দিন, সেলিম আল দীন, অমলেন্দু বিশ্বাস, আলমগীর কবির, তারেক মাসুদ, ওয়াহিদুল হক, উদয় শঙ্কর, ফিরোজা বেগম, শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেসা, আবদুল্লাহ আল মামুন, শহীদুল্লাহ কায়সার, খান আতাউর রহমান, চাষী নজরুল ইসলাম, সুভাষ দত্ত, কসিম উদ্দিন, মহেশ চন্দ্র রায়, কামরুল হাসান, ওস্তাদ আয়েত আলী খাঁ, পন্ডিত রবি শংকর, ওস্তাদ আলী আকবর খাঁ, রবিন ঘোষ, সত্য সাহা, খন্দকার নুরুল আলম, সমর দাস, কানাই লাল শীল, আবদুর রহমান বয়াতী, মুকুন্দ দাস, অজিত রায়, এস এম সুলতান।
২৫ জুন থেকে ২ জুলাই পযর্ন্ত জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্ত্র মিলনায়তনে পর্যায়ক্রমে শিল্পীদের স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে বলে জানানো হয় অনুষ্ঠানে।