গান-নাটকে মুখর শিল্পকলা প্রাঙ্গণ

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবের পাশাপাশি বিশ্বসংগীত দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দেশি-বিদেশি শিল্পীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে ঢাকার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণ।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 June 2019, 02:36 PM
Updated : 21 June 2019, 02:36 PM

২১ জুন শুক্রবার বিশ্ব সংগীত দিবস। দিবসটি উদযাপনে এবার বৈচিত্র্যময় উদ্যোগ নিয়েছে শিল্পকলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ। বিকাল ৪টা থেকে শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব।

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলি লাকিসহ শতাধিক শিল্পী শোভাযাত্রায় অংশ নেন। একাডেমি থেকে সেগুনবাগিচা হয়ে শোভাযাত্রাটি জাতীয় চিত্রশালায় শেষ হয়। 

শোভাযাত্রা শেষে চিত্রশালার লবিতে একাডেমির সংগীত শিল্পীদের অর্কেস্ট্রা পরিবেশিত হয়। ফোয়াদ নাসের বাবুর পরিচালনায় সমবেত যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ মিউজিশিয়ানস ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
এবারের সংগীত দিবসের মূল আকর্ষণ ছিল দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের পরিবেশনায় বিভিন্ন ভাষার গান। কণ্ঠশিল্পী দিনাত জাহান মুন্নীর তত্ত্বাবধানে দেশের ৪৫ জন শিল্পী শোনান বাংলা, হিন্দি, উর্দু, ইংরেজি, স্পেনিশ, জাপানিজ, চায়নিজ, নেপালি, আরবি ও রুশ ভাষার বিভিন্ন বিখ্যাত গান।
এতে কণ্ঠ দেন রাজীব, ইউসুফ, প্রিয়াঙ্কা গোপ, অনুপমা মুক্তি ও রাশেদ, বাদশা বুলবুল, ডলি সায়ন্তনী, মৌটুসী, প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস, সবুজ, শরীফ, সুস্মিতা ও সুমি মির্জা, দিনাত জাহান মুন্নী, প্রতীক হাসান ও পুতুল, সাব্বির, আরমিন মূসা, জয় শাহরিয়ার ও আর্নিক, আলিফ আলাউদ্দিন, সুজন আরিফ, মেহরাব ও ফারশিদ, পুলক, পারভেজ, সিঁথি সাহা ও বেলি আফরোজ, কোনাল, রাফাত ও হৈমন্তী, লুইপা, সজীব ও পিংকি ছেত্রি, রন্টি, শুভ ও স্মরণ, কণা, মুহিন, ইমরান ও লিজা, ইবরার টিপু, শান ও বিন্দু কণা।
তারা ছাড়াও সমবেত সংগীত পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি শিশু দল, ঢাকা সাংস্কৃতিক দল ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত শিল্পীবৃন্দ, উত্তরায়ন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংগীত বিভাগ, সরকারি সংগীত মহাবিদ্যালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি বাউল দল।
সংগীত দিবসের আয়োজনের পাশাপাশি দ্বিতীয় দিনের মতো আন্তর্জাতিক নাট্যোৎসবে মঞ্চস্থ হয় দুটি নাটক। থিয়েটার দ্য লুসান এবং ইয়ং ভিক লন্ডনের পরিবেশনায় এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে বিকেল ৫টায় মঞ্চস্থ হয় মধ্যপ্রাচ্যে চলমান যুদ্ধ এবং এর ফলে সৃষ্ট শরণার্থীদের জীবনের গল্প নিয়ে নাটক ‘ও মাই সুইট ল্যান্ড’। এতে একক অভিনয় করেন নাট্যকার ও নির্দেশক কোরিন জাবের।
সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় আন্তজার্তিক খ্যাতিসম্পন্ন নাট্য নির্দেশক রতন থিয়াম পরিচালিত ভারতের কোরাস রেপার্টরী থিয়েটারের প্রযোজনা ‘ম্যাকবেথ’। 
এছাড়া উৎসবের আকর্ষণীয় অংশ হিসেবে সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় রতন থিয়ামের ‘মাস্টার ক্লাস’। থিয়েটার ব্যক্তিত্ব রতন থিয়াম বক্তৃতা করেন তার নাট্য বিষয়ক অভিজ্ঞতা, ভাবনা এবং প্রয়োগ পদ্ধতি নিয়ে। কোরাস রেপার্টরী থিয়েটারের নাট্যকর্মীদের ডেমনেস্ট্রশনে তার প্রশিক্ষণ পদ্ধতি এবং নাট্যভাবনা অনূদিত হয়। মাস্টার ক্লাসে আরও উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও নাসিরউদ্দীন ইউসুফ।