শুক্রবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল; তার আগে বুধবার সকালে শুনানী শেষে এ নির্বাচনে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেন সিনিয়র সহকারী জজ মোহাম্মাদ শাফি।
শিল্পী সমিতির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে এদিন সকালে জজ কোর্টে অভিযোগ করেন তিন অভিনয়শিল্পী আব্দুল্লাহ রানা, শেখ এহসানুর রহমান, নূর মুহাম্মদ রাজ্য। এদিন সকালেই শুনানী শেষে এ রায় দেওয়া হয়। রায়ের কপি বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতে পান বলে নিশ্চিত করেছেন এহসানুর রহমান।
তিন নির্বাচন কমিশনার খায়রুল আলম সবুজ, বৃন্দাবন দাশ ও মাসুম আজিজ, শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চুসহ ৮ বিবাদীকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে।
তবে এ নোটিস এখনও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন শহীদুল আলম সাচ্চু। তিনি বলেন, কোনও নোটিস যেহেতু আমরা পাইনি সেহেতু নির্বাচন হবে।
শেখ এহসানুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সমাজসেবা অধিদপ্তরের গঠনতন্ত্র ভায়োলেট করে নির্বাচনটা হচ্ছিল। আমরা গত তিনমাসে সাংগঠনিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। সমাধান না হওয়ার কারণে তারা নির্বাচনের উদ্যোগ নিলে গতকাল আদালতে আশ্রয় নিয়েছি।”
শিল্পী সমিতির এ সদস্যের অভিযোগ, “শুরুতে ২০২০ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের চিঠি বের করেছিল কমিটির বর্তমান সদস্য। কিন্তু ঘটনা ফাঁস হওয়ায় পুরো কমিটি পদত্যাগ করে। পদত্যাগের পর সাধারণ সভার মাধ্যমে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের নিয়ম থাকলেও তা না করে আগের কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক সদস্যদের চিঠিকে জানিয়ে দেয় ওমুক ওমুক নির্বাচন কমিশনার। এটা গঠনতন্ত্র বিরোধী।”
২১ সদস্যের কমিটির নির্বাচনে ৫২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল; ভোটার সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৬শ’।