যখন কেবল একটিই টিভি চ্যানেল-বিটিভি, সেই নব্বই দশকে নির্মিত বিজ্ঞাপনচিত্রগুলার আবেদন যেন ফুরোবার নয়। এখনও স্মৃতিতে ভেসে আসে সেইসব দৃশ্যগুলো। শিমুল-চৈতি অভিনীত বার্জার পেইন্টসের বিজ্ঞাপনটি তেমনই একটি নির্মাণ।
২৫ বছর আগে আফজাল হোসেন নির্মিত বিজ্ঞাপনচিত্রটি এখনও দর্শকের চোখে ভাসে।
বিজ্ঞাপনে নতুন ফ্রেমে সন্তানদের নিয়ে হাজির হন পুরনো ফ্রেমের সেই দম্পতি।
সম্প্রতি এটি প্রচারের সঙ্গে সঙ্গেই দারুণ সাড়া পড়েছে দর্শকদের মধ্যে। এ বিজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর পর্দায় দেখা গেলো লাক্সসুন্দরী চৈতিকে।
কেমন ছিলো এ নির্মাণের পেছনের গল্পটা? নির্মাতা রাজীভ বললেন, “বিজ্ঞাপনী সংস্থা ইউনিট্রেন্ড যখন আমাকে স্ক্রিপ্টটা হাতে দেয়, তখন আমি এটা বুঝতে পারি যে, এ কাজটা অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ। শিমুল ভাইর সঙ্গে তো প্রায়ই দেখা হয়, কিন্তু চৈতী আপুকে যখন দেখলাম তখন বুঝলাম যে ওনার মধ্যে অন্যরকম একটা বাংলাদেশি মায়া আছে। শুটিংয়ে প্রথম শটে- সেই দম্পতির ঘরে ঢোকার দৃশ্যটিতে তার চারপাশে তাকানোর ভঙ্গিটা যখন দেখি তখনই আমি কনভিন্স হয়ে যাই। শেষ দৃশ্যেও যখন শিমুল ভাই বলে, ‘তোমার চোখের কাজল কিন্তু কালোই ভালো’, সে মুহুর্তটাতে দারুণ ছিলো তার অভিব্যক্তি। আমরা আসলে অনেক মজা করে কাজটা করেছি, যাতে এটা অনেক ন্যচারাল হয়।”
শুধু শুটিংয়েই নয়, মিউজিক, এডিটিং সবকিছুতেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সময় ও যত্ন নিয়ে কাজটি করেছেন বলে জানালেন রাজীভ।
সাম্প্রতিক সময়ের বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের মধ্যে সফল এ নির্মাতা জানালেন, বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পরপরই দারুণ সাড়া পাচ্ছেন তিনি। ফোনে, ফেইসবুকে প্রতিনিয়তই প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন দর্শকদের কাছ থেকে।
প্রশ্ন ছিলো, সেই সময়ের বিজ্ঞাপনগুলো যা এখনও মানুষের মনে গেঁথে আছে, এই সময়ের বিজ্ঞাপন তা কতটুকু পারছে?
বার্জার পেইন্টস এর ব্র্যান্ড ম্যানেজার নামিব ইতমাম বিজ্ঞাপনটি সম্পর্কে গ্লিটজকে বলেন, “বিজ্ঞাপনটি প্রচারের পর আমরা দারুণ সাড়া পাচ্ছি। অন্য সময় যেটা হয়, দু একটা সমালোচনা হলেও পাই, এ কাজটির শুধুই প্রশংসা পাচ্ছি। বার্জার সবসময় মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি থাকতে চেয়েছে। সে কারণেই ২৫ বছর আগের সেই আবেগকে আবার মানুষের সামনে হাজির করেছে।”
৮০ সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রান আউট ফিল্ম। বিজ্ঞাপনটিতে শিমুল-চৈতি ছাড়াও দেখা গেছে মিসও ওয়ার্ল্ড ঐশিসহ একঝাঁক নবীন-প্রবীন অভিনয়শিল্পীকে।