মঙ্গলবার দেশটির জাহনা ক্লিনিকুম অফেনবাখ হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে; রাত সাড়ে আটটার দিকে জ্ঞান ফিরেছে তার।
এ শিল্পীর এক ঘনিষ্টজন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
“তার শারীরিক অবস্থা এখন ভালো। অস্ত্রোপচারের পর চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। আশা করছি, দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশের ফিরে আসবেন তিনি।”, বলেন সেই ঘনিষ্টজন।
তিনি জানান, গত বছরের মাঝামাঝিতে ব্যাংককে এক সড়ক দুর্ঘটনায় সুমনের মেরুদণ্ড মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরে তার মেরুদণ্ডে দুটি অস্ত্রোচারের পরও জটিলতা না কাটায় তৃতীয় বারের মতো জার্মানির এ হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করালেন তিনি। গত ১১ জুন থেকে মেরুদণ্ডের চিকিৎসার জন্য প্রসিদ্ধ এ হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
মেরুদণ্ডের জটিলতা ছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছেন অর্থহীনের এ ভোকাল; যিনি শ্রোতাদের কাছে বেজবাবা সুমন নামে পরিচিত।শরীরে এর আগে সাকুল্যে ২১টির মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে; এর মধ্যে ক্যান্সারের প্রকোপে তার পাকস্থলী, মেরুদণ্ডের হাড় ও পায়ে ১৩টির মতো অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।
অর্থহীনের এ সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মাস ছয়েক আগে পরীক্ষা করার পর ডাক্তাররা জানিয়েছেন, আপাতত উনি ক্যান্সার থেকে নিরাপদে আছেন। তবে এখনই উনি পুরোপুরি ক্যান্সারমুক্ত না; আবারও ফিরতে পারে।”
২০০৯ সালে তার মেরুদণ্ডে ক্যান্সার ধরা পড়ে। পরে তা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসা চলাকালীনই তিনি গিটার হাতে কণ্ঠে গান তুলেছেন। সবশেষ ২০১৬ সালে প্রকাশ হয় অর্থহীনের সপ্তম অ্যালবাম ‘ক্যান্সারের নিশিকাব্য’।
তিনি ‘ফ্রিকোয়েন্সি’ নামের একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সংগীত জীবন শুরু করেন। ১৯৯০ সালে থেকে তিনি দেশের নানা ব্যান্ডে বেইজ বাজিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফিলিংস, ওয়ারফেইজ। তিনি প্রথম একক অ্যালবাম প্রকাশ করেন ১৯৯২ সালে। এ পর্যন্ত তার তিনটি একক অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছে। ১৯৯৯ সালে ‘অর্থহীন’ ব্যান্ড গড়ে তোলেন। অর্থহীনের অ্যালবাম প্রকাশ পেয়েছেন ৭টি।