গুলশান হামলার ঘটনাকে উপজীব্য করে নির্মিত চলচ্চিত্রটি দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে-এমন আশঙ্কায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে আটকে দেয় সেন্সর বোর্ড। সেন্সর বোর্ডের এ সিদ্ধান্তের বিপরীতে ফেব্রুয়ারিতে আপিল করেছে চলচ্চিত্রটির অন্যতম প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া।
সাত সদস্যের আপিল কমিটি গত ৪ এপ্রিল চলচ্চিত্রটি পুনরায় দেখার পর প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও ছাড়পত্রের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি আপিল বোর্ড। আদৌ চলচ্চিত্রটি ছাড়পত্র পাবে কি না-তা নিশ্চিত করতে পারেননি আপিল কমিটির সদস্য ও সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান নিজামুল কবীর।
চলচ্চিত্রটির নির্মাতা মোস্তাফা সরয়ার ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত পাওয়ার পর আমরা পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।”
দেশে ছাড়পত্র না পেলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘শনিবার বিকেল’ মুক্তির পরিকল্পনার কথা জানালেন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সরকার যদি রিলিজ না দেয় তাহলে তো জোড় করে দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে ইন্টারন্যাশনালি রিলিজ করার পরিকল্পনা করেছি।”
তবে চলচ্চিত্রটির সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদি তিনি। “যতক্ষণ হাতে না পাই (সেন্সর সার্টিফিকেট) ততক্ষণ বলতে পারব না। আমি মনে করি দিয়ে দেওয়া উচিত।”
দেশটির চলচ্চিত্র বিষয়ক আরেক পত্রিকা ‘মেইক দ্য সুইচ’ রিভিউ প্রকাশ করেছে ‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে। এতে চলচ্চিত্র সমালোচক চার্লি ডেভিড চলচ্চিত্রটির নির্মাণশৈলী নিয়ে প্রশংসা করেছেন।
সিডনির পর মিউনিখ ফিল্ম ফেস্টিভালেও প্রদর্শনের জন্য নির্বাচিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি; সেখানে ২৯ জুন, ৩০ জুন ও ১ জুলাই তিনটি প্রদর্শনী হবে।
মিউনিখের আগে ‘শনিবার বিকেল’ দেখানো হবে লন্ডনেও। বাগরি ফাউন্ডেশন লিফ ফেস্টিভালের অংশ হিসেবে ২৫ জুন বার্বিকান আর্ট সেন্টারে ও ২৭ জুন জেনেসিস সিনেমা হলে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রটি।
জাজ মাল্টিমিডিয়া, ছবিয়াল ও ট্যানডেম প্রোডাকশন প্রযোজিত চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফিলিস্তিনের অভিনেতা ইয়াদ হুরানি, অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাহিদ হাসান, মামুনুর রশীদ ও কলকাতার অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।