ঢাকায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
শিল্পীর ছেলে আসিফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা সেরে রাতেই মরদেহ মোহাম্মদপুরের বাসায় নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার পৈত্রিক বাড়ি কুষ্টিয়ার কোটপাড়ায় তাকে দাফন করা হবে বলে জানান আসিফ।
দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে আক্রান্ত এ শিল্পী সম্প্রতি কিডনি ও ফুসফুসের জটিলতায় ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে গত ৪ মে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে।
খালিদ হোসেনের মৃত্যুতে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ শোক প্রকাশ করেছেন। এক শোকবার্তায় তিনি প্রয়াতের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনাও জানান।
১৯৪০ সালের ৪ ডিসেম্বর কলকাতায় জন্ম খালিদ হোসেনের। পাঁচ দশক ধরে বাংলাদেশে নজরুল গীতির শিক্ষক, গবেষক ও শুদ্ধ স্বরলিপি প্রণয়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডে সংগীত নিয়ে প্রশিক্ষক ও নিরীক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
নজরুল ইনস্টিটিউটে নজরুল সংগীতের আদি সুরভিত্তিক নজরুল স্বরলিপি প্রমাণীকরণ পরিষদের সদস্য তিনি।
এ পর্যন্ত তার ছয়টি নজরুল সংগীতের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। তার একমাত্র আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘চম্পা নদীর তীরে’। এ ছাড়া তার ১২টি ইসলামী গানের অ্যালবামও রয়েছে।
নজরুল সংগীতে অনবদ্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পান খালিদ হোসেন।