নায়িকা হয়ে ফিরতে চান দীঘি

শিশু শিল্পীর ভাবমূর্তি ভেঙে এবার নায়িকা চরিত্রের মাধ্যমে অভিনয়ে ফিরতে চান চলচ্চিত্রের পরিচিত মুখ প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2019, 02:51 PM
Updated : 11 May 2019, 02:51 PM

সবশেষ ২০১২ সালে চিত্রপরিচালক মনতাজুর রহমান আকবরের ‘ছোট্ট সংসার’ চলচ্চিত্রে শিশু শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন তিনি। মাঝে সাত বছরের বিরতি ভেঙে চেনা অলিন্দে এবার ভিন্নভাবে ফেরার আভাস দিলেন দীঘি।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শিশু শিল্পী হিসেবে আর অভিনয় করবেন না। নায়িকার চরিত্রেই অভিনয়ে ফিরতে চান শিগগিরই। বিষয়টি নিয়ে তার প্রস্তুতিও বেশ। নিজের ফিটনেসের ব্যাপারেও বেশ সচেতন তিনি।

অভিনয় শিল্পী সুব্রত-দোয়েল দম্পতির মেয়ে দীঘির অভিনয়ে অভিষেক হয় শৈশবে। গ্রামীণফোনের একটি বিজ্ঞাপনে অভিনয় করে রাতারাতি আলোচনার প্রাদপ্রদীপে উঠে আসেন ছোট্ট দীঘি। বিজ্ঞাপনে তার মুখে ‘বাবা জানো, আমাদের সেই ময়না পাখিটা না আজ আমার নাম ধরে ডেকেছে’ সংলাপটি ছড়িয়ে পড়ে মানুষের মুখে মুখে।

কাজী হায়াতের ‘কাবুলীওয়ালা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে শিশু শিল্পী হিসেবে বড়পর্দায় অভিষেক হয়। এখন অবধি ৩০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করা এ শিল্পী তিনবার শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

ছবি: দীঘির ফেইসবুক থেকে নেওয়া।

২০১১ সালে মা দোয়েলের মৃত্যুর পর অভিনয় থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে পড়াশোনায় মনোযোগী হন দীঘি।এবার রাজধানীর স্টামফোর্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ইংরেজি ভার্সনে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আপাতত পড়াশোনার চাপ না থাকায় অভিনয়ে ফেরার বিষয়ে পরিবার থেকেও সমর্থন পাচ্ছেন তিনি।

তার বাবা অভিনেতা সুব্রত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আপাতত পড়াশোনার চাপ নেই। এখন ভালো নির্মাতা, চিত্রনাট্য আর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পেলেই অভিনয়ে ফিরবে দীঘি।”

মেয়ের মতো তিনিও বলেন, “এখন আর শিশুশিল্পী হিসেবে নয়, কাজ করলে হিরোইন হিসেবেই করবে; মূল চরিত্রে অভিনয় করবে।”

নায়িকা রূপে বড়পর্দায় হাজির হওয়ার আগে শিশুশিল্পীর ইমেজ ভাঙতেই গত সাত বছর দীঘিকে অভিনয়ের বাইরে রাখা হয়েছে বলে জানালেন তিনি।

ছবি: দীঘির ফেইসবুক থেকে নেওয়া।

“ছোটবেলায় যে ইমেজটা ছিল সেটাকে অ্যাভয়েড করার দরকার আছে- তা না হলে তো হয় না। স্ক্রিনে থাকলে তো ওর শিশু ইমেজটা কাটবে না। শিশু শিল্পী হিসেবে পুরস্কারও পেয়েছে। তারপর একটা গ্যাপ না দিলে বড় হয়ে ফেরাটা সুখকর হবে না।”

সাত বছরে অভিনয়ের জন্য নিজের প্রস্তুতির পাশাপাশি পড়াশোনার উপরও জোর দিয়েছেন দীঘি। মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হওয়ার পর ভালো কোনো কলেজে ভর্তি হতে চান। অভিনয়ের সঙ্গে পড়াশোনাও এগিয়ে যেতে চান সমানতালে।