মাঝে হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম: নোবেল

জি-বাংলার সংগীত বিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘সা রে গা মা পা’-তে কণ্ঠের দ্যুতি ছড়িয়ে সেরা দশে জায়গা করে নিয়েছেন তরুণ সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। শুটিংয়ের ফাঁকে কলকাতার থেকে গ্লিটজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানালেন, প্রতিযোগিতায় শেষ কয়েকটি পর্বে হাল ছেড়ে দিলেও শ্রোতাদের গঠনমূলক সমালোচনায় অনুপ্রাণিত হয়ে স্বরূপে ফিরতে পুরোদমে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তিনি।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 May 2019, 02:43 PM
Updated : 5 May 2019, 03:29 PM

গ্লিটজ: এ প্রতিযোগিতা থেকে এখন আপনার প্রত্যাশা কী?

নোবেল: আমার শ্রোতাদের খুশি করতে হবে। আমার যে প্রত্যাশা ছিল তার দশ গুণ অতিক্রম করেছি। আমার প্রত্যাশা এত ছিল না। কিন্তু আমার শ্রোতারা প্রত্যাশা, আমি বিজয়ী হব। সেই উদ্দেশ্যেই কাজ করছি।

মাঝে আমার পারফর্মেন্স একটু খারাপ ছিল। হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। আগ্রহও হারিয়ে ফেলেছিলাম। শ্রোতারা আমার গঠনমূলক সমালোচনা করেছেন; আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। তারা আমার কাছ থেকে আরও ভালো পারফর্মেন্স চায়। তারাই আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। আমি আবারও নিজেকে প্রস্তুত করছি; যাতে আগামী পর্বগুলোতে নিজের সেরাটা দিতে পারি।

 

গ্লিটজ: মাঝে হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন কেন?

নোবেল:  প্রতিদিন একই কাজ করতে করতে একঘেয়েমি চলে এসেছিল। আগে থেকেই মৌলিক গানের প্রতি আমার টান ছিল। ‘সা রে গা মা পা’য় আসার পর সাত মাস ধরে কাভার সং করছিলাম। কাভার সং একজন শিল্পীকে বেশিদিন বাঁচিয়ে রাখতে পারে না। কিছুদিন ধরে মৌলিক গানের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলাম। মাথায় এখনও মৌলিক গান থাকলেও শ্রোতাদের সমালোচনাকে ভালোভাবে নিয়ে জোর দিয়ে প্রতিযোগিতার জন্য কাজ করার চেষ্টা করছি।

ছবি: ফেইসবুক থেকে নেয়া

 

গ্লিটজ: সপ্তাহখানেক ধরে আপনার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ তুলেছেন, শেষ কয়েকটি পর্বে আপনার গানকে যথাযথ মূল্যায়ণ করেননি বিচারকরা। লেখাগুলো দেখেছেন?

নোবেল: ফেইসবুকে লেখাগুলো ফলো করেছি। একাধিক পত্রিকায় খবরও হয়েছে দেখলাম। আমার ভক্তরা নিজে থেকে যেটা মনে করেছে সেটা লিখেছেন। এটা নিয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। 

গ্লিটজ: সেরা দশে এসে কাকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন?

নোবেল: আমার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আমি নিজেই নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী। গত পর্বের চেয়ে আজকের পর্বে ভালো করতে না পারলে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিজের থেকে পিছিয়ে পড়ব।  

গ্লিটজ: হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের এই মঞ্চে নিজের প্রস্তুতি কেমন?

নোবেল: আগের মতোই। প্রস্তুতির ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আসেনি। গান তো অন্তর থেকে করার জিনিস। এতটুকু বলতে পারি, নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি।

ছবি: ফেইসবুক থেকে নেয়া

 

গ্লিটজ: সৃজিত মুখার্জির ‘ভিঞ্চি দা’র পর কলকাতায় নতুন কোনো চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিচ্ছেন?

নোবেল: প্রতিযোগিতার বিচারক শান্তনু মৈত্র’র কম্পোজিশনে একটি একক গানের ব্যাপারে কথা হয়েছে।

গ্লিটজ: শান্তনু মৈত্র’র কম্পোজিশনে আরেক বিচারক মোনালী ঠাকুরের সঙ্গে একটি দ্বৈত গানে কণ্ঠ দেওয়ার কথা ছিল আপনার।

নোবেল: হ্যাঁ, কথা ছিল কিন্তু ওই গানটা হচ্ছে না সম্ভবত। কিন্তু একক গানটা হবে।

গ্লিটজ: আপনার ব্যান্ড ‘নোবেল ম্যান’ থেকে প্রথম গান কবে আসছে?

নোবেল:  ব্যান্ডের সদস্যদের নিয়ে টানা পনেরদিন দিনরাত জেগে কাজ করেছি। চারটা গান রেডি করেছি আমরা। জুলাইয়ে নোবেল ম্যান ইউটিউব চ্যানেলে গানগুলো প্রকাশ করা হবে।