শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান শমী অভিনেত্রী হিসেবে পরিচিতি পাওয়ার পর এখন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই- ক্যাব) সভাপতি এবং এফবিসিসিআইর পরিচালক।
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটন বিষয়ক সাইট ‘বিন্দু৩৬৫’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন তিনি। বক্তব্য শেষে কেক কাটার পর তার দুটি স্মার্টফোন আর যথাস্থানে পাননি বলে জানান তিনি।
এরপর মিলনায়তনের মূল দরজা বন্ধ করে প্রায় অর্ধশত সাংবাদিককে আটকে রাখা হয়।
ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করতে চাইলে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।
শমী কায়সারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মীরা এক আলোকচিত্র সাংবাদিকের ক্যামেরার লেন্স খুলেও তল্লাশি করতে চেয়েছিলেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান এক সাংবাদিক।
ওই সাংবাদিক বলেন, “সাংবাদিকদের অপমান করা হয়েছে। আমরা সেখানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছি। আমরা তো সেখানে মোবাইল চুরি করতে যাইনি।
“আমাদের ক্যামেরার লেন্স খুলে চেক করতে চাইবে কেন? আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরাও মোবাইল খুঁজে পেতে সহযোগিতা করতাম।”
সাংবাদিকদের হেনস্তার ঘটনায় অনুষ্ঠানস্থলে দুঃখ প্রকাশ করে শমী কায়সার বলেন, এটি ‘ভুল বোঝাবুঝি’ ছিল।
পরে বিভিন্ন টেলিভিশনের ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সন্দেহভাজন হিসেবে এক তরুণকে চিহ্নিত করা হলেও এখনও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।