ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বেলা আড়াইটায় তার মৃত্যু হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম।
৮৩ বছর বয়সী এই অভিনেতা বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। বছর ছয়েক আগে স্ট্রোক করার পর তিনি হাঁটাচলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেন।
নাসিম জানান, শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে গত পরশু সালেহ আহমেদকে অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
বগুড়ার সারিয়াকান্দির সন্তান সালেহ আহমেদ চাকরি করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে। এক সময় মঞ্চ নাটকের সঙ্গে যুক্ত এই অভিনেতা ১৯৯১ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার পর পুরোপুরি অভিনয়ে মন দেন।
অয়োময়, কোথাও কেউ নেইসহ হুমায়ূন আহমেদের বহু নাটকে সালেহ আহমেদের অভিনয় এখনও টেলিভিশন দর্শকদের মনে আছে।
হুমায়ূন আহমেদের আমার আছে জল, শ্রাবণ মেঘের দিন ও আগুনের পরশমণি সিনেমাতেও তিনি অভিনয় করেছেন।
এই অভিনয়শিল্পীর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছিল তার পরিবারকে। তাদের আবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত জানুয়ারি মাসে সালেহ আহমেদের চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র দেন।
সালেহ আহমেদের ছোটমেয়ে সায়েদা সুলতানা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বুধবার এশার নামাজের পর তার বাবার জানাজা হবে।
পরে সায়েদাবাদ কবরস্থানে বড় মেয়ে ডা. সুলতানা ফাহমিদার কবরের পাশে দাফন করা হবে এ অভিনয়শিল্পীকে।