১৯ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে আলো ঝলমল মঞ্চের মহোৎসবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। মহোৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে তারকারা জানালেন শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধের আহ্বান।
এবারের আসরে প্রধান বিচারকের আসনে ছিলেন উপমহাদেশের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লা। তিনি ‘অনেক বৃষ্টি ঝরে, তুমি এলে’ গানটি গেয়ে বিচারকের আসনে বসেন। অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া প্রসঙ্গে রুনা লায়লা বলেন, “আমি আনন্দিত। বাচ্চারা সবার প্রিয়।”
শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধের আহবান জানিয়ে রুনা লায়লা বলেন, “তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ, সবার ভবিষ্যৎ, আমরা আছি তোমাদের পাশে।”
পুরস্কার হিসেবে ‘গানের রাজা‘কে দেয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী নেত্রকোনার মো. শফিকুল ইসলাম পেয়েছে ৩ লাখ টাকা এবং তৃতীয় স্থান অধিকারী ময়মনসিংহের সিঁথি সরকার পেয়েছে ২ লাখ টাকা। সবাইর জন্যই ছিলো আরো আর্কষণীয় পুরস্কার।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কবিতা আবৃত্তি করেছেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আসাদুজ্জামান নূর এমপি। এ সময় আসাদুজ্জামান নূর শিশু ও নারী নির্যাতন বন্ধে দেশের সকল মানুষের প্রতি আহবান জানান।
শীর্ষ ৫ প্রতিযোগী লরা, লাবিবা, শফিকুল, পনি চাকমা এবং সিঁথির সঙ্গে গান করেছেন যথাক্রমে আগুন, এস আই টুটুল, ডলি সায়ন্তনি, তপু এবং তপন চৌধুরী।
একঝাঁক সহশিল্পীদের সাথে একক পারফরমেন্স করেন পরীমনি এবং জুটি বেঁধে পারফর্ম করেন পূর্ণিমা ও রোশান। প্রধান দুই বিচারক কোনাল ও ইমরানও একটি পারফর্মে অংশ নেন।
এর আগে প্রাথমিক পর্বে ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সী ৫ হাজারের বেশি কোমলমতি শিশুরা অংশ নেয় নিবন্ধনে। তাদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৫৪ জন প্রতিযোগিকে নিয়ে বিভিন্ন গ্রুমিং এবং তালিমের প্রক্রিয়া শেষে ৪০টি পর্ব সম্প্রচার হয় চ্যানেল আইতে। সেখান থেকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বিচারকরা নির্বাচন করে শীর্ষ ৫ প্রতিযোগীকে। তারা হলো- মেফতাহুর জান্নাত লরা (চাপাইনবাবগঞ্জ), ফাইরুজ লাবিবা (খুলনা), মো. শফিকুল ইসলাম (নেত্রকোনা), পনি চাকমা (রাঙামাটি) এবং সিঁথি সরকার (ময়মনসিংহ)।