মোহাম্মদ শহীদ বিশ্বাস নামে ওই চালকের বিরুদ্ধে রোববার দুপুরে সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এজেআই গ্রুপের হেড অব এইচ আর অ্যান্ড এডমিন জাহিদুল হাসান মির বলেন, সকালে এজে আই গ্রুপের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও গাড়ি চালক শহীদ বিশ্বাস রাজধানীর আদাবর এলাকায় কারখানার এক পরিচালকের বাসা থেকে ৫৩ লাখ টাকা নিয়ে প্রাইভেটকারে করে সাভার আসছিলেন।
“সেখানে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক হেমায়েতপুর শাখায় গ্যাসের বিল দেওয়ার কথা। পরে ওই দুইজন হেমায়েতপুর শাখায় টাকা জমা না দিয়ে সাভারের থানা রোড এলাকায় সোনালী ব্যাংকে আসেন।”
জাহিদুল বলেন, এ সময় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা গাড়িতে ৫৩ লাখ টাকা রেখেই সোনালী ব্যাংকে যান এবং চালককে টাকাগুলো দেখে রাখতে বলেন। পরে কৌশলে গাড়ি চালক শহীদ বিশ্বাস প্রাইভেট কার ও চাবি রেখেই ৫৩ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যান।
তিনি জানান, এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও গাড়ি চালককে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
সাভার মডেল থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, টাকা উদ্ধার ও গাড়ি চালককে আটক করার প্রক্রিয়া চলছে। ওই গাড়ি চালকের বাড়ি ভোলা জেলায় বলে জানা গেছে।
গার্মেন্ট ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল বিকালে এক ফেইসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ফ্যাক্টরির একজন অ্যাকাউটেন্ট মোহাম্মদ জহির গাড়িতে টাকা রেখে সোনালী ব্যাংকে ভ্যাট দিতে ঢুকেছিলেন। সুযোগ বুঝে টাকাগুলো নিয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে যায় শহীদ বিশ্বাস।
“এখনও সেই গাড়িচালককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।”
ফেইসবুক পোস্টে ওই গাড়িচালকের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডও তুলে দিয়েছেন অনন্ত জলিল। সেখানে শহীদের বাসার ঠিকানা দেওয়া আছে ঢাকার মোহাম্মদপুর হাউজিং এলাকায়।
তাকে ধরিয়ে দিতে পারলে পুরস্কৃত করার ঘোষণা দিয়েছেন অনন্ত জলিল।