এখনও কানে বাজে শাহনাজ রহমত উল্লাহর যেসব গান

সংগীত শিল্পী শাহনাজ রহমত উল্লাহ দৃষ্টির সীমানা ছাড়িয়ে গেলেও এখনও জনপ্রিয় তার কণ্ঠের বহু গান।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2019, 02:05 PM
Updated : 24 March 2019, 02:33 PM

ষাটের দশকে সঙ্গীতাঙ্গণে এসে পাঁচ দশক গেয়েছেন শাহনাজ;  একের পর এক দেশাত্মবোধক, প্লেব্যাক ও আধুনিক গানে মাতিয়েছেন শ্রোতাদের মন।

বিবিসির জরিপে সর্বকালের সেরা ২০টি বাংলা গানের তালিকায় শাহনাজ রহমত উল্লাহর গাওয়া চারটি গান স্থান করে নেয়। ১৯৯০ সালে ‘ছুটির ফাঁদে’ ছবির ‘সাগরের সৈকতে কে যেন ডাকে আয়’ গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

মাত্র ১১ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে ‘নতুন সুর’ চলচ্চিত্রে প্লে-ব্যাক করেন শাহনাজ রহমত উল্লাহর। এরপর বহু চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি, যার অনেক গানই এখনও ঘোরে বাঙালির কণ্ঠে।

শাহনাজ রহমত উল্লাহর জনপ্রিয় গানের তালিকা দীর্ঘ। বলা হয়ে থাকে, তার কোনো গানই শ্রোতার মন না ছুঁয়ে যায়নি।

বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া এই শিল্পীকে নিয়ে গীতিকার শহীদুল্লাহ ফরায়েজীর মূল্যায়ন, যত দিন মানুষ বাংলা গান শুনবে ততদিন বেঁচে থাকবে শাহনাজ রহমত উল্লাহর গান।

তার উল্লেখযোগ্য গানের মধ্যে রয়েছে- ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘আমার দেশের মাটির গন্ধে’, ‘আমায় যদি প্রশ্ন করে’, ‘একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘একতারা তুই দেশের কথা বল রে আমায় বল’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’, ‘ফুলের কানে ভ্রমর এসে’ (পিচঢালা পথ), ‘ওই ঝিনুক ফোঁটা সাগর বেলায়’, ‘পারি না ভুলে যেতে’ (সাক্ষী), ‘যেভাবে বাঁচি বেঁচে তো আছি’, ‘আমি সাত সাগরের ওপার হতে’ (কত যে মিনতি), ‘শুনেন শুনেন জাঁহাপনা’ (সাত ভাই চম্পা), ‘কে যেন সোনার কাঠি ছোঁয়ায় প্রাণে’, ‘আমি যে কেবল বলে তুমি’ (আগন্তুক), ‘একটু সময় দিলে না হয়’ (সূর্য উঠার আগে), ‘স্বপ্নের চেয়ে সুন্দর কিছু নেই’, ‘আবার কখন কবে দেখা হবে’, ‘যদি চোখের দৃষ্টি দিয়ে চোখ বাঁধা যায়’, ‘তোমার আগুনে পোড়ানো এ দুটি চোখে’, ‘তুমি কি সেই তুমি’, ‘ও যার চোখ নাই’ (তাসের ঘর), ‘ঘুম ঘুম ঘুম চোখে’ (ঘুড্ডি), ‘আমি তো আমার গল্প বলেছি’, ‘বন্ধুরে তোর মন পাইলাম না’, ‘খোলা জানালায় চেয়ে দেখি তুমি আসছো’, ‘একটি কুসুম তুলে নিয়েছি’, ‘আমায় তুমি ডাক দিলে কে’, ‘ওই আকাশ ঘিরে সন্ধ্যা নামে’, ‘আমার ছোট্ট ভাইটি মায়ায় ভরা মুখটি’, ‘আষাঢ় শ্রাবণ এলে নেই তো সংশয়’, ‘বারোটি বছর পরে’, ‘আরও কিছু দাও না দুঃখ আমায়’, ‘আমি ওই মনে মন দিয়েছি যখন’, ‘আমার সাজানো বাগানের আঙিনায়’, ‘দিগন্ত জোড়া মাঠ’, ‘তোমার আলোর বৃন্তে’, ‘এই জীবনের মঞ্চে মোরা’ প্রভৃতি।