এ আয়োজনে যুক্ত হচ্ছে সত্যেন সেন গণসংগীত উৎসবের দশম আসর।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক অজয় রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাংস্কৃতিক কর্মী কামাল লোহানী ও অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।
রোববার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উদীচীর নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সফিউদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন ও সহ-সভাপতি প্রবীর সরদার।
তপন জানান, তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন উদীচীর একবিংশ জাতীয় সম্মেলনের সাংগঠনিক পর্ব ও কাউন্সিল অধিবেশন হবে। তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় নির্বাচিত হবে পরবর্তী দুই বছর মেয়াদে উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের নতুন কমিটি।
পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হবে দশম সত্যেন সেন জাতীয় গণসংগীত প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব।
প্রায় দেড় মাস ধরে দেশের প্রায় সবগুলো জেলা ও বিভাগে উদীচীর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে গণসংগীত প্রতিযোগিতা।
তিনটি একক ও দলীয় মোট চারটি বিভাগে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন সারা দেশের উদীয়মান শিল্পীরা। বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা এই পর্বে অংশ নেবেন। ওই দিন সন্ধ্যায় চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষিত হবে, পরদিন সন্ধ্যায় বিজয়ীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে সনদপত্র ও স্মারক।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন।
তিনি বলেন, “অদ্ভূত এক ভ্রান্তিপূর্ণ সময়ের মধ্যে এগিয়ে চলছে দেশ। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি, লুটপাট, স্বজনপ্রীতি আর নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা।”
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নানা ধারায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা 'হুমকির মুখে’ ফেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
জামসেদ আনোয়ার বলেন, “নির্বাচনে ভোটদানের মতো গণতান্ত্রিক মৌলিক উপাদানকে অনেকাংশেই পরিণত করা হয়েছে প্রহসনে।”
অনিয়মের বিরুদ্ধে গণমানুষকে একতাবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “মানুষের মুক্তি, সংস্কৃতির মুক্তি, অবরুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার মুক্তির জন্য লড়াই শেষ ঠিকানা। তাই লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলুক গানে, কবিতায়, নাটকে।”