বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানাবে ‘মুক্তির গান’

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকীতে গান, কবিতা, নৃত্য ও অভিনয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতাকে শ্রদ্ধা জানাবে ‘মুক্তির গান’ নামের একটি সংগঠন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 March 2019, 07:54 PM
Updated : 16 March 2019, 07:54 PM

রোববার বিকাল ৪টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে শুরু হবে তাদের এ আয়োজন।

আয়োজকদের পক্ষে  নবেন্দু নির্মল সাহা জয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মদিন উপলক্ষে ২০১৯ সালকে তারা ‘বঙ্গবন্ধু বর্ষ’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নৃত্য-গীতে সেই বর্ষের উদ্বোধন হবে রোববার বিকালে।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতা পেয়েছি; মুক্তি আসবেই- এ স্লোগানকে সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘মুক্তির গান’ গত এক বছর যাবৎ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

“সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সূর্যমুখী নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিলেন, তার সফল বাস্তবায়নের জন্য কাজ করাই আমাদের ব্রত।”

যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করা ও সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অন্ধকার থেকে প্রজন্মকে অসাম্প্রদায়িক আলোর দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে মুক্তির গানের উদ্যোগে।

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে সারা দেশের শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আয়োজন করে তারা।

এই আয়োজনে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু-কিশোররা বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে নিজেদের কণ্ঠে ধারণ করেছে। সারা দেশ থেকে প্রায় সাড়ে আট হাজারের ওপর ভিডিওচিত্র আয়োজকদের কাছে এসে জমা পড়েছে।

নবেন্দু নির্মল সাহা জয়  বলেন, “এই ব্যাপক অংশগ্রহণ একদিকে যেমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা তেমনি বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণকে তারা নিজের কণ্ঠে ধারণ করে কেবল ভাষণের বাক্যমালাই নয়, অন্তর্নিহিত তাৎপর্যকেও ফুটিয়ে তুলেছে তাদের পরিবেশনায়।”

রোববার ওই প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ হবে।

নবেন্দু জানান, রোববার বিকাল ৪টায় জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে ‘বঙ্গবন্ধু বর্ষ’ উদ্বোধনের আনুষ্ঠানিকতা। তারপর ‘সেই অবিনাশী উচ্চারণ’ প্রতিযোগিতার সম্পর্কে বক্তব্য দেবেন আয়োজকদের একজন। শীর্ষ ৫০ প্রতিযোগীর ভিডিও কোলাজ প্রদর্শন হবে এরপর।

‘ওই মহামানব আসে’ শীর্ষক সঙ্গীত পরিবেশনার পর সাতই মার্চের ভাষণকে ভিত্তি করে উপস্থাপিত হবে মাইম পরিবেশনা। ‘শোনো  একটি মুজিবুরের থেকে’ শীর্ষক পরিবেশনার পর শিশুরা শোনাবে ‘কখন আসবে কবি’। 

শিশু কিশোর প্রতিযোগিতার সেরা সাত প্রতিযোগী এরপর আসবে মঞ্চে। সাতই মার্চের ভাষণ নিয়ে বিশেষ প্রযোজনা ‘সেই অবিনাশী উচ্চারণ’ পরিবেশন করবে তারা।

এরপর অতিথিরা আসবেন মঞ্চে। তারা শীর্ষ ৫০ প্রতিযোগীকে দেবেন সনদ। একইসঙ্গে সেরা সাত ও শ্রেষ্ঠ তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্যও রয়েছে পুরস্কার।

অতিথি হিসেবে থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, শহীদকন্যা নুজহাত চৌধুরী ও শাওন মাহমুদ।

‘ম্যাজিক শো’র পরে মঞ্চস্থ হবে নৃত্যনাট্য, এটি সেলিনা হোসেনের ‘সাতই মার্চের বিকেল’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত।

‘পূর্ব দিগন্তে’, ‘আমরা সবাই বাঙালি’, ‘জয় বাংলা’-স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের এই গানগুলো সম্মেলক কণ্ঠে পরিবেশনার পর থাকছে বর্ণিল আতশবাজির প্রদর্শনী।

সমাপনী আয়োজনে থাকবে কনসার্ট, যেখানে গান শোনাবে গানপোকা, অবসকিউর ও আর্টসেল।

এই আয়োজনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মিডিয়া পার্টনার।