গ্লিটজ: কেমন চলছে ‘আহারে’র প্রচারণা?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: সপ্তাহখানেক ধরে প্রচারণায় সময় পার করছি আমরা। প্রচারণায় কোনো রকম কমতি রাখিনি। প্রত্যেক ছবি মুক্তির আগেই আমার খুব টেনশন হয়। বরাবরই আমি চেষ্টা করি নিজের ছবিটা যেন ভালোভাবে দর্শকের কাছে পৌঁছায়। সিনেমার প্রতি ভীষণ দায়বদ্ধতা কাজ করে।
ছবি ভালোভাবে দর্শকের কাছে না পৌঁছালে আমার চিন্তা হয়, প্রচারণার কোনো ঘাটতি ছিল কি না। এই কারনেই টেনশনটা কাজ করে।
গ্লিটজ: ইতোমধ্যে ছবির ট্রেইলার ও গান রিলিজ হয়েছে।সেগুলো থেকে চারপাশ থেকে প্রতিক্রিয়া কেমন পাচ্ছেন?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: খুব ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। এখন দেখার অপেক্ষায় আছি, মুক্তির পর দর্শকরা ছবিটিকে কিভাবে নেয়।
গ্লিটজ: চলচ্চিত্রটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
গ্লিটজ: গতানুগতিক ধারার গল্পে অভ্যস্ত দর্শকদের জন্য নিরীক্ষাধর্মী চলচ্চিত্র নিয়ে আসাটা চ্যালেঞ্জিং বলে মনে করেন?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: ইন্ডিয়াতে এই ধরনের কাজ বরাবরই হচ্ছে। বিশেষ করে ‘উড়ি’, মন মর্জিয়া’ , ‘বাঁধাই হো’র মতো নতুন ধরনের গল্পের ছবি দর্শকরা গ্রহণ করছে। রাজকুমার রাওয়ের ‘স্ত্রী’ ছবিটার কথায় বলা যাক না; দারুনভাবে গ্রহণ করেছে দর্শক। রাজকুমার রাওয়ের সব ছবিই তো এই ধরনের। আমি নিজেও ‘অলিক সুখ’, ‘রাজকাহিনি’র মতো ভিন্নধর্মী গল্পে কাজ করেছি।
তারই ধারাবাহিকতায় ‘আহারে’ করছি।এতে প্রেম, ভালোবাসার সঙ্গে খাবারকেও ছবির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু হিসেবে ধরা হয়েছে। এতে বাংলাদেশ ও কলকাতার বন্ধন সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
গ্লিটজ: ‘আহারে’র কোন বিষয়টি এতে অভিনয়ে আপনাকে আগ্রহী করেছে?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: রঞ্জন ঘোষের আগের ছবি ‘রঙ বেরঙের কড়ি’ দারুণ ছিল। বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে। বরাবরই ও ছবিতে নতুন কনসেপ্ট নিয়ে আসার চেষ্টা করে। ‘আহারে’-তে প্রেমকে নতুনভাবে তুলে আনা হয়েছে।
প্রেম ব্যাপারটা যে মানুষের একদম ভেতর থেকে আসে-সেটা স্ক্রিপ্টে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এতে পারিবারিক মূল্যবোধ আছে। খাবারের মধ্যেও যে আলাদা রসায়ন তৈরি হতে পারে সেটা দেখার জন্য ছবিটি উদাহরণ হতে পারে।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: ছবিতে আরিফিন শুভ’র প্রথম উপস্থিতিটাই এককথায় অসাধারণ। ওর অভিনয় ক্ষমতা খুব ভালো। ভালো ডিরেক্টরের হাতে পড়লে অনেক ভালো করবে। ওর ভেতরের শিল্পীসত্তা পরিচালক ঠিকঠাক মতো বুঝলে ছেলেটা অনেক এগিয়ে যাবে। এই ছবির জন্য আমিই ওকে পছন্দ করেছিলাম।
গ্লিটজ: আরিফিন শুভকে কেন বেছে নিলেন?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: রঞ্জনের কাছ থেকে যখন ছবির স্ক্রিপ্ট পেয়েছিলাম তখন আমি আরিফিনের সঙ্গে ‘একটি সিনেমার গল্প’ সিনেমার শুটিং করছিলাম। আলোচনার ফাঁকে রঞ্জন বলেছিল, ‘তুমি বলো, কাকে নেওয়া যায়?’ হঠাৎ আরিফিনের কথা মনে হলো। ছবিটাতে আরিফিন খুব ভালো অভিনয় করেছে। পরিচালক চরিত্রটাকে যেভাবে ফুটিয়ে তুলতে চাইছিলেন সুন্দরভাবে ও সেটা তুলে এনেছে।
গ্লিটজ: ছবিতে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য কী থাকছে?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: আমিও তো বাংলাদেশের একটা অংশ। আমি আছি, আরিফিন শুভ আছে, আলমগীর সাহেব আছেন। ছবিতে বাংলাদেশের ‘ইলিশ পোলাও’ ‘বিরিয়ানি’র কথা উঠে এসেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেক খাবারের উল্লেখ আছে। সর্বোপরি দুই দেশের মানুষের বন্ধন নিয়েই ছবিটি করা হয়েছে।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: নাহ, শুটিং বাংলাদেশে হয়নি; তবে বাংলাদেশের আশেপাশে হয়েছে।
গ্লিটজ: সামনে আপনার হাতে কী কী প্রজেক্ট হাতে আছে?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: ‘বেলাশেষে’র সিক্যুয়েল ‘বেলাশুরু’, ‘মুখার্জি দা’র বউ’, ‘পার্সেল’, ‘লাইমলাইট’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র আমার হাতে আছে।
গ্লিটজ: বাংলাদেশের ‘জ্যাম’ চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ছবিটির শুটিং কতদূর এগোলো?
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত: শিগগিরই আমি ‘জ্যাম’র শুটিং করতে ঢাকায় যাবো। পাশাপাশি ‘গাঙচিল’ চলচ্চিত্রে একটি অতিথি চরিত্রে অভিনয়ের সম্ভাবনা আছে।