বইমেলায় ‘ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক’

বিখ্যাত আমেরিকান চলচ্চিত্র নির্মাতা ডেভিড লিঞ্চ এর লেখা ‘ক্যাচিং স্য বিগ ফিশ’ গ্রন্থের অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে অমর একুশে বইমেলায়।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Feb 2019, 07:42 AM
Updated : 16 Feb 2019, 07:42 AM

ডেভিড লিঞ্চ একজন পেইন্টার, মিউজিশিয়ান, অভিনেতা, ফটোগ্রাফার। সব ছাপিয়ে ‘ফিল্মমেকার’ পরিচয়েই তার পরিচিতি বিশ্বজুড়ে। জন্মসূত্রে আমেরিকান নাগরিক হলেও সিনেমা জগতের বাসিন্দা তিনি। ব্রিটিশ পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ তাকে অভিহিত করেছে ‘এ যুগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফিল্মমেকার’ হিসেবে। বিখ্যাত ওয়েবসাইট ‘অলমুভি’র বিচারে তিনি ‘আধুনিক আমেরিকান ফিল্মমেকিংয়ের রেনেসাঁ-মানব’।

তার নির্মিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো- ‘ইরেজারহেড’, ‘দ্য এলিফ্যান্ট ম্যান’, ‘ডুন’, ‘ব্লু ভেলভেট’, ‘ওয়াইল্ড অ্যাট হার্ট’, ‘টুইন পিকস : ফায়ার ওয়াক উইথ মি’, ‘লস্ট হাইওয়ে’, ‘দ্য স্ট্রেট স্টোরি’, ‘মুলহোল্যান্ড ড্রাইভ’ ও ‘ইনল্যান্ড এম্পায়ার’।টি ভি পর্দায় প্রথম জনপ্রিয় পরাবাস্তববাদী ড্রামা সিরিয়াল- ‘টুইন পিকস’ও তারই সৃষ্টি।

এমন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে বাংলা ভাষায় এই প্রথম অনুবাদ গ্রন্থ রচনা করলেন কবি ও সিনেগবেষক রুদ্র আরিফ। ডেভিড লিঞ্চের লেখা ক্যাচিং স্য বিগ ফিশ গ্রন্থের অনুবাদধর্মী বই ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক বইটি প্রকাশ করেছে ঐতিহ্য। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন সব্যসাচী হাজরা।

বইটি প্রসঙ্গে রুদ্র আরিফ বলেন, “বাস্তব ও কল্পনার দোলাচলে, থাকা না-থাকার কুহকী খেলায়, পরাবাস্তবতার তীক্ষ্ণ ইমেজে সিনেমায় নিজস্ব স্বর আবিষ্কার তিনি করতে পেরেছেন বলেই, সিনেবিশ্বে ‘লিঞ্চিয়ান’ টার্মটি এখন ভীষণ গুরুত্ববহ। অক্সফোর্ড অভিধানেও জায়গা পেয়েছে শব্দটি। বাংলায় এটিকে আমরা হয়তো ‘লিঞ্চধর্মী’ ডাকতে পারি।

ধ্যানী এই সিনে-মাস্টার, প্রকৃতই ধ্যানচর্চার পাশাপাশি, নিজ জীবন ও সিনে-দর্শন লিখে রেখেছেন ছোট ছোট নোট আকারে। সেই লেখাগুলো বই হিসেবে মলাটবদ্ধ হয়েছে 'ক্যাচিং দ্য বিগ ফিশ : মেডিটেশন, কনসাসনেস, অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি' শিরোনামে। সেই বইটির এই প্রথম ও পূর্ণাঙ্গ বাংলা অনুবাদের নাম রাখা হলো, 'ডেভিড লিঞ্চের নোটবুক'।

তিনি আরও বলেন, “জানামতে, বাংলাভাষায় ছাপার অক্ষরে ডেভিড লিঞ্চকে নিয়ে এটিই প্রথম কোনো পূর্ণাঙ্গ কাজ। তাই বোঝাপড়ার সুবিধার্থে মূল নোটবুকের আগে জুড়ে দেওয়া হয়েছে লিঞ্চকে নিয়ে এক দীর্ঘ গদ্য।”