মঙ্গলবার সকালে এই শিল্পীর প্রয়াণের পরপরই তার আফতাবনগরের বাসায় ছুটে আসেন অনেকে। আসেন কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ, অ্যান্ড্রু কিশোর।
কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, “আজ চলে গেলেন আমাদের সঙ্গীতের মহাজন। আমি যদি বলি এই হার্টের ৫টা ভেসেল, তবে আজ সেই ৫ ভেসেলের একটি চলে গেল।
তিনি বলেন, “দেশাত্মবোধক গানের ভাণ্ডারগুলো দেখুন তার, দেশের প্রতি তার কত মমতা! তিনি কাউকে খুব বেশি অভিযোগ করতেন না। কিন্তু কাছের যে ক’জন মানুষকে তিনি মনের দুঃখগুলো শেয়ার করতেন, আমি তাদের একজন।
এখন আমাদের গানের জগতের যে অবস্থা, তা নিয়ে ভীষণ আক্ষেপ করতেন তিনি।”
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের সুরে ‘আমি জীবন্ত একটা লাশ’, ‘ও ডাক্তার,ও ডাক্তার’, ‘আমার তুমি ছাড়া কেউ নেই আর’, ‘তুমি কত লিটার দুধ করেছ পান’, ‘আপামর জনতার ধারণা’, ‘যোজন যোজন দূর’, ‘জীর্ণ দেহের এক বৃদ্ধা নারী’ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কুমার বিশ্বজিৎ।
গীতিকবি ফরাজী বলেন, “বাংলা গানকে অন্য এক উচ্চমাত্রা তিনি দিয়ে গিয়েছিলেন৷ দেশাত্মবোধক গানের আইকন ছিলেন তিনি।”
গীতিকার কবির বকুল বলেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল একজন বড় মাপের মানুষ ছিলেন। সুরস্রষ্টা ও গীতিকার এ মানুষটি দেশের জন্য কতটা নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন, তার দেশপ্রেমের গানগুলোই তা প্রমাণ করে।
আরেক শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী প্রয়াত সুরস্রষ্টার অবদান রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণের দাবি জানান।
“তিনি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নন, তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আশা করব, পরবর্তীকালে তার কাজগুলো রাষ্ট্রীয়ভাবে সংরক্ষণ করা হবে। শুধুই কী গান! এ দেশ প্রাপ্তিতেও তার যে অবদান তা জাতি স্মরণ করবে দীর্ঘকাল।”
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের বাসায় এ প্রজন্মের শিল্পীদের মধ্যে এসেছিলেন ক্লোজ আপ ওয়ান তারকা মুহিন, সাব্বির; এসেছিলেন সিঁথি সাহা।
সিঁথি সাহা বলেন, “স্যারের সাথে তিন চারটি গানে কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তিনি এমন করে চলে যাবেন, এ ভাবতে পারছি না।”