‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ খ্যাত এ অভিনেত্রী বিএনপি সরকারের আমলে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সক্রিয় সদস্য ছিলেন বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর আসে।
এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (বিএফডিসি) সংবাদ সম্মেলন করে মৌসুমী দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ছবির ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “বিভিন্ন উৎসবে আমাদের যেতে হয়, গেলে তো ছবি আসবেই। ছবিটা আমিও তুলি নাই। আমি তো বলি নাই যে এটা অপরাধের মধ্যে পড়ে।”
জাসাসের সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকলেও তিনি কখনোই বিএনপিতে যুক্ত ছিলেন না বলে দাবি করে মৌসুমী।
তিনি বলেন, “যারা ছবিটি ছড়াচ্ছে, তারা হয়ত আমাকে পছন্দ করে না, হয়ত আওয়ামী লীগকে পছন্দ করে না। আমাকে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে।”
সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হতে বুধবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম তোলেন মৌসুমী।
মৌসুমী বলেন, “কোন দল করব, এটা আমার সিদ্ধান্ত। আমার যদি মনে হয়, এই নেতার জন্য কাজ করলে আমার ভালো লাগবে, তাহলে তাই করব।… আমাকে ভুল বোঝার কোনো অবকাশ নেই।”
দুই যুগের বেশি সময় ধরে তিনশ’রও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে মৌসুমী তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।
অভিনয়ে এখন আর আগের মতো ব্যস্ততা না থাকায় রাজনীতিতে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টেলিভিশনে প্রচারিত একটি সাক্ষাৎকার দেখেই রাজনীতিতে আসার আগ্রহ জাগে বলে মৌসুমী জানান।
“উনি (শেখ হাসিনা) বলেছিলেন, ৫০ জনের সিলেকশন নিজে করবেন এবং নিরপেক্ষ হবে। কথাটা আমাকে উৎসাহিত করেছে, উদ্বুদ্ধ করেছে ও সাহসী করেছে।…মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জনগণের আস্থা তৈরি করে ফেলেছেন। রাজনীতি করার ইচ্ছাটা আগে থেকেই ছিল। এই সময়ে রাজনীতিতে সুন্দর একটা পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।”
মৌসুমী বলেছেন, সংসদ সদস্য হতে পারলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চান তিনি।