জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা এবং জার্মান সরকারের সহযোগিতায় রাজধানীর শিশু একাডেমী মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হয় ৮ ডিসেম্বর। রোবাবার সমাপনী দিনে ঘোষিত হলো বিজয়ীদের নাম।
আয়োজকসূত্রে জানা যায়, ৮২ টি দেশ থেকে মোট ৭৩৮ টি স্বল্প দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র জমা পড়ে এই উৎসবে। দু’দিন ব্যাপী এ উৎসবের ৪টি সেশনে সেখান থেকে বাছাইকৃত ৭০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়।
সমাপনী দিনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রথম সেশনে ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে উৎসব সমাপনী ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মানবাধিকার প্রচার ও রক্ষায় চলচ্চিত্র ও অন্যান্য মাধ্যম’ শীর্ষক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন জার্মান রাষ্ট্রদূত এইচ. ই. পিটার ফাহরেনহল্টজ, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, মানবাধিকার ফোরামের প্রতিনিধি সঞ্জীব দ্রং, নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী, চলচ্চিত্র নির্মাতা অং রাখাইন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সাবেক সভাপতি ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী রাশেদুল হাফিজ। এই আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম।
বিকাল ৪টা ৩০ট মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। উৎসবে বিভিন্ন বিভাগে বিজয়ী চলচ্চিত্রগুলোকে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এতে শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ‘লাইফ ড্রপস’ নির্মাণের কারণে প্রথম স্থান লাভ করেন ভারতীয় নির্মাতা অভিষেক শোয়াইন।
দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন যৌথভাবে ‘পোস্টার’ নির্মাণের জন্য বাংলাদেশী নির্মাতা জোসেফ মেহেদী এবং ‘ফ্লাইয়িং চাইল্ড’ নির্মাণের জন্য ফজলে রাব্বী। ‘ভিমবামঃ রিফ্লেকশন’নির্মাণের জন্য তৃতীয় স্থান লাভ করেন শ্রীলংকান নির্মাতা বাভানাথান নিথিয়ানান্থান।
এছাড়াও মানবাধিকার বিষয়ক চলচ্চিত্র হিসেবে বিশেষভাবে মনোনীত হয় বাংলাদেশ, ভারত ও আফগানিস্তানের ৮টি চলচ্চিত্র। শ্রেষ্ঠ নির্মাতা, চিত্রনাট্য, চিত্রগ্রহন, সম্পাদনা ও অ্যানিমেশন বিভাগে ৫টি চলচ্চিত্র মনোনীত হয়।
এর আগে উৎসবের প্রথম দিন চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ছাড়াও আলোচনা অনুষ্ঠান, জাতিসংঘের তথ্য কেন্দ্রের প্রযোজনায় বিশেষ নাটক ‘উই সিং অফ ইক্যুয়ালিটি’ মঞ্চস্থ হয়।