অপি-ঋত্বিকের ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ ব্রাত্য বসু

দুই বাংলার যৌথপ্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘মায়ার জঞ্জাল’-এ যুক্ত হলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী ও অভিনেতা ব্রাত্য বসু।

গ্লিটজ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2018, 12:39 PM
Updated : 8 Dec 2018, 12:39 PM

চলতি বছর নভেম্বরে কলকাতায় শুরু হয় দুই বাংলার যৌথপ্রযোজনার চলচ্চিত্র ‘ডেব্রি অব ডিজায়ার’ চলচ্চিত্রের শুটিং। যার বাংলা নাম ‘মায়ার জঞ্জাল’। ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরীর পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে বাংলাদেশের অপি করিমের বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার ঋত্বিক চক্রবর্তী।

চলচ্চিত্রটির বাংলাদেশ অংশের প্রযোজক জসিম আহমেদ গ্লিটজকে জানালেন, বিরতিহীন এগিয়ে চলছে যৌথপ্রযোজনার নতুন নীতিমালায় নির্মিত প্রথম এ চলচ্চিত্রটির চিত্রায়নের কাজ। এরই মধ্যে চলচ্চিত্রটিতে অতিথি চরিত্রে যুক্ত হয়েছেন টলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ব্রাত্য বসু।

জসিম আহমেদ চলচ্চিত্রটির সর্বশেষ খবর জানালেন এভাবে, “কলকাতা অংশের কিছু শুটিং হয়েছে যেগুলো মুলত কলকাতার শিল্পীদেরই। ইন্ডোরের কিছু কাজ আছে ঢাকায়। জানুয়ারীতে কলকাতার কিছু কাজ আবার হবে যেখানে বাংলাদেশী শীল্পীদের অংশই বেশী। আর জানুয়ারীর শেষ দিকে ঢাকায় শুটিং হবে।”

ব্রাত্য বসুর যুক্ত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ব্রাত্য দা মুলত অতিথি শিল্পী। প্রথম থেকেই কবিদা (ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী) উনার কথাই ভেবেছিলো। পরিচালকের অতীত কাজ, ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং ভালো গল্পের ছবি বলে ৩ দিনের কাজ জেনেও উনি করতে রাজী হয়েছেন।”

কলকাতায় বৈদ্যবাটির দেড়শো বছরের পুরনো মুখার্জি বাড়িতে শুটিং চলছে ‘ডেব্রি অব ডিজায়ার’ এর।

ছবিটিতে ব্রাত্য বসুর চরিত্রের নাম গনেশ বাবু। তিনি মাছের আড়তদার। বিউটি সাহা নামের এক যৌনকর্মীর প্রেমে পড়েন গণেশ। বাংলাদেশের মেয়েটিকে তার স্বামী কলকাতার এক দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়। মেয়েটিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নিতে চান তিনি। যদিও তার স্ত্রী-সন্তান আছে ঘরে।

অন্যদিকে, সিনেমায় অপির চরিত্রের নাম সোমা। অন্যদিকে ঋত্বিক আছেন চাঁদুর ভূমিকায়। তারা নিম্ন মধ্যবিত্ত দম্পতি। তাদের সংসারে আছে একমাত্র সন্তান। চাঁদু বেকার। এ কারণে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে চাকরি করে সোমা।

কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ছোটগল্প ‘বিষাক্ত প্রেম’ ও ‘সুবালা’ অবলম্বনে সাজানো হয়েছে ছবিটির চিত্রনাট্য।

নির্মাতা ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে চলচ্চিত্রটির বাংলা নাম রাখা হয়েছে ‘মায়ার জঞ্জাল’। চিত্রনাট্য এমনভাবে সাজানো হয়েছে, শেষে গিয়ে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুই ছোট গল্প মিলে গেছে একই বিন্দুতে।