বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে শনিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো উত্থাপন করে টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার্স অ্যাসোশিয়েশন, ডিরেক্টরম গিল্ড, অভিনয়শিল্পী সংঘ, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘ, ক্যামেরাম্যান অ্যাসোশিয়েশন, টেলিভিশন মিডিয়া মেকাপ আর্টিস্ট অ্যাসোশিয়েশন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবনা পাঠ করেন ট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা। সভাপতিত্ব করেন টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি মামনুর রশীদ।
মামুনুরর রশীদ বলেন, “২০১৬ সাথে শহীদ মিনারে আমরা সভা করেছিলাম সেখানে ১০টি দাবি জানিয়েছিলাম আমরা। সেই দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হলেই আমাদের সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।’
আমরা এখন সামনের দিকে তাকিয়ে আছি। সামনে আমাদের সমস্যার সমাধান যেন হয়। রাজনৈতিক দলগুলো যেন তাদের ইশতেহারে এগুলো উল্লেখ করে এবং সরকার গঠন করার পর পরই এগুলো বাস্তবায়ণ করে।”
দাবিগুলো হলো-
১. বাংলাদেশে সরকারিভাবে টেলিভিশন নাটককে শিল্প হিসেবে ঘোষণা প্রদান করা হোক।
২. টেলিভিশন নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর পেশকৃত সুপারিশমালা তথ্যমন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়ন এবং সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়নে সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করা।
৩. বর্তমানে দেশের নাটক অনেক উন্নত হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে দর্শক হারাচ্ছে এবং এই দর্শক ক্রমাগতভাবে ঝুঁকে পড়ছে বিদেশি চ্যানেলের দিকে। তাই পে-চ্যানেলের বাস্তবায়ন করার দাবি জানিয়েছে তারা। তারা জানান, বাংলাদেশ ব্যতীত প্রায় সব দেশই পে-চ্যানেলের আওতাভুক্ত।
৪. টিআরপি পদ্ধতিকে গ্রহণযোগ্য ও বিজ্ঞানসম্মত করা হোক।
৫. টিভি চ্যানেলগুলোর কাছে প্রযোজকদের যে বকেয়া আছে তা সরকারের মধ্যস্ততায় পরিশোধের ব্যবস্থা করা হোক।
ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, “অল্প বাজেটের কাজ দিয়ে কোটি কোটি টাকার বিদেশি অনুষ্ঠানমালার সঙ্গে আমাদের ফাইট করতে হয়। স্বাধীনতার পরে যতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মঞ্চ নাটক ও টেলিভিশন নাটক। আমাদের নাটকের যে গৌরবময় সময় সেই জায়গা থেকে এখন আমরা অনেক দূরে সরে এসেছি।
শুধুমাত্র আমাদের সিস্টেমের জন্য সরে আসতে হয়েছে। আমরা এক সঙ্গে হয়েছি। সবকিছু ঠিক করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।”
অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুল আলম সাচ্চু বলেন, “আমরা আশা করি যেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার আসে। তাদের মেনুফেস্টুতে চাই নাটককে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা করা হোক। তাহলে যেটা হয়, প্রতিশ্রুতি রক্ষার দায়বদ্ধতা থেকে যায়।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ, কচি রেজা, আহসান হাবিব নাসিমসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।