বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণে ডিপজল

বাবা-মাকে হারানোর বেদনা থেকে বৃদ্ধাশ্রম নির্মাণ করছেন খলনায়ক মনোয়ার হোসেন ডিপজল।

সাইমুম সাদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Dec 2018, 02:55 PM
Updated : 4 Dec 2018, 02:55 PM

রাজধানীর মিরপুরে বৃদ্ধাশ্রমটির কাজ শুরু করেছেন; ইতোমধ্যে ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সাভারের ফুলবাড়িয়ার নিজের বাসায় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ২০০ সিটের বৃদ্ধাশ্রমটি উদ্বোধন করা হবে।

বাবা-মাকে হারানোর বেদনা থেকেই এ পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন তিনি। “বাবা-মা নাই বলেই আমার আগ্রহ বেশি। আমার মা দেড় বছর আগে মারা গেছেন। পৃথিবীতে উনিই আমার সবচেয়ে আপন ছিলেন। মা-বাবা যার নাই তার দুনিয়াতে কিছু নাই। মা থাকলে ভালো লাগত।”

ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “যাদের বাবা-মা বেঁচে আছে তাদের যত্ন করুন। বাবা-মার ঠিকানা মাথায় হওয়া উচিত। আপনার বাবা-মাকে যদি বৃদ্ধাশ্রমে রাখি তাহলে আপনার চোখে খারাপ লাগার কথা। দয়া করে সবাই নিজ নিজ বাবা-মাকে আগলে রাখুন।”

দাপুটে এ খলনায়ক চলচ্চিত্রে এসেছিলেন নায়ক হওয়ার স্বপ্নে; ঘটনাক্রমে খলনায়ক হিসেবে অভিনয় করে খ্যাতির চূড়ায় উঠেন ‘ভয়ংকর বিষু’ খ্যাত এ অভিনয়শিল্পী।

১৯৮৬ সালে তার প্রথম চলচ্চিত্র ‘টাকার পাহাড়’ মুক্তি পায়। তারপর করেন ‘হাবিলদার’। বছর পাঁচেক পর কাজী হায়াতের ‘তেজি’ ছবিতে প্রথমবারের মতো ‘এন্টি হিরো’ হিসেবে পর্দায় হাজির হন। টানা একযুগের বেশি সময় খলনায়ক হিসেবে দাপট দেখিয়েছেন ঢাকার চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে।

পরে ‘চাচ্চু’ চলচ্চিত্র দিয়ে ফিরলেন পুরোনো রূপে। মাঝখানে বেশ কয়েকবছর কাজের বাইরে থাকা এ অভিনয়শিল্পী হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন চলতি বছর। তার শারীরিক অবস্থা এখন কিছুটা ভালো। সামনে তিন-চারটা চলচ্চিত্র নিয়ে হাজির হবেন দর্শকদের সামনে।

ডিপজলের ভাষ্যে, “অভিনয় করবো না-এটা কোনোদিন মনে আসে না। যতদিন জীবিত থাকব ততদিন কাজ করব।”

ব্যক্তিগত জীবনে স্ত্রী আর তিন ছেলে এক মেয়ে নিয়ে তার সংসার। মেয়ে ওলিজা মনোয়ারের বিয়ে দিয়েছেন কয়েকমাস আগে। বড় ছেলে পড়াশোনার পাশাপাশি গাড়ির মোডিফাইয়িংয়ের কাজ শিখছেন। মেঝ-ছোট ছেলেও পড়াশোনা করছেন।