পশ্চিমবঙ্গের নির্মাতা কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মিত ‘বিসর্জন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্রে জয়া পৌঁছে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে জয়ার ঝুলিতেও জমেছে বেশ কিছু সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার ও সম্মাননা।
এমন সাফল্যের পর নির্মাতা কৌশিক গাঙ্গুলি নির্মাণ করেছেন চলচ্চিত্রটির সিক্যুয়াল ‘বিজয়া’। নতুন বছরের জানুয়ারিতেই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ভারতের বড়পর্দায়। চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশ ও ভারতে একযোগে মুক্তি দেওয়ার আগ্রহ জানিয়েছেন নির্মাতা।
চলচ্চিত্রটি সাফটা চুক্তির আওতায় বাংলাদেশে মুক্তির উদ্যোগ নিয়েছেন প্রযোজক ও মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ। ইতোমধ্যেই তিনি এ চুক্তির আওতায় ‘বিসর্জন’ চলচ্চিত্রটি আমদানি করার কথা জানিয়েছেন তিনি। তবে নানা জটিলতায় চলচ্চিত্রটি এখনও মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে পারেননি নওশাদ।
গ্লিটজকে তিনি বলেন, “নানা জটিলতায় ও আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলচ্চিত্রটি বড়পর্দায় মুক্তির তারিখ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে আশা করছি, নির্বাচনের পরপরই জানুয়ারিতে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাবে। একইসঙ্গে দু-এক সপ্তাহ বিরতিতেই যাতে ‘বিসর্জন’র সিক্যুয়াল হিসেবে ‘বিজয়া’ চলচ্চিত্রটিও দর্শক দেখতে পারে সে ব্যাপারেও উদ্যোগ নিয়েছি। ইতোমধ্যেই প্রযোজকের সঙ্গে কথা চূড়ান্ত হয়েছে। এখন শুধু আনুষ্ঠানিকতা বাকি।”
কলকাতায় আগামী ৪ জানুয়ারি ‘বিজয়া’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার কথা। সম্প্রতি কলকাতায় চলচ্চিত্রটির মুক্তির প্রচারণায় পোস্টার উন্মোচন অনুষ্ঠানে অংশ নেন জয়া।
এই চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিসর্জন আমার প্রাণের অত্যন্ত কাছাকাছি একটি চলচ্চিত্র। পদ্মা থেকে শুরু করে নাসির আলী, গণেশ মণ্ডল-প্রতিটি চরিত্র এখনো উজ্জ্বল বাঙালির মননে। কিন্তু কিছু কিছু গল্প হঠাৎ শেষ হয়ে যায় না। তাই পদ্মা, নাসির আলী, গণেশ মণ্ডল আবার ফিরছে বড় পর্দায়। আমার বিশ্বাস, ‘বিসর্জন’ ছবির মতো ‘বিজয়া’ আপনাদের সবার মন ছুঁয়ে যাবে।”
‘বিসর্জন’ ছবির গল্প যেখানে শেষ হয়েছিল, ঠিক সেই জায়গা থেকে শুরু হয়েছে ‘বিজয়া’র গল্প। কেমন হবে ‘বিজয়া’, তার আঁচ টের পাওয়া যাচ্ছে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ট্রেলারেই।