তথ্যচিত্রে ইতিহাসের সেই সব সময়ের ডিজিটাল রূপায়ন করেছেন তরুণ নির্মাতা ফয়েজ রেজা।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বাংলাদেশে যখন সামরিক শাসন জেঁকে বসে, তখন দুই সন্তান ও বোন শেখ রেহানাসহ দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বাঁচেন শেখ হাসিনা।
পরিবার হারানোর এই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে রাজনীতির মাঠে নেমে আলো ছড়িয়েছেন শেখ হাসিনা। তিন মেয়াদে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
তার নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের পথে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র প্রসঙ্গে ফয়েজ রেজা বলেন, “তথ্যচিত্রটির শুরুতেই দেখানো হয়েছে ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নিয়ে কীভাবে দলকে পুনরায় গড়ে তুললেন, তার চিত্র।
“এরপর সাধারণ মানুষের ভাত-কাপড়ের অধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অংশ নিয়ে রাজপথে শেখ হাসিনার আন্দোলন, স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই এবং ১৯৯৬ সালে ভোটে নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণের চিত্র।”
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর দারিদ্র্যকে বাংলাদেশের মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা দূর করার জন্য কীভাবে সংগ্রাম ও পরিশ্রম করেছেন, তাও উঠে এসেছে এতে।
এরপর দেখানো হয়েছে ২০০৯ সালে দ্বিতীয়বার ও ২০১৪ সালে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ কীভাবে অর্থনীতির উন্নয়ন সূচকে এগিয়ে গেলো সে সব ঘটনার বিবরণ।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত ১১ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডের এই তথ্যচিত্রের গবেষণায় ছিলেন সাজিদ রায়হান, ধারা বর্ণনা দিয়েছেন আজাদ আবুল কালাম, মিউজিক বিন্যাস করেছেন মকসুদ জামিল মিন্টু এবং সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন তামান্না তাসমিয়া তুয়া।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে শেকড়ের সন্ধানে মেগাকনসার্টে ইতোমধ্যে তথ্যচিত্রটি দেখানো হয়েছে রংপুর জেলা স্কুল মাঠ, রাজশাহীর এ এইচ এম কামরুজ্জামান স্টেডিয়াম, খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়াম, বরিশালের বিভাগীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এবং ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।