জঙ্গিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত এক যুবকের জঙ্গি আক্রমণে পরিবার-স্বজনসহ সর্বস্ব হারিয়ে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ওঠার গল্প এই চলচ্চিত্র। আক্তারুল ইমান পরিচালিত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন খিজির হায়াত।
তিনি জানান, আসছে ১৬ নভেম্বর চলচ্চিত্রটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে বড়পর্দায়। তার আগে ৪ নভেম্বর মুক্তি পেলো চলচ্চিত্রটির ট্রেলার। ৩ মিনিট ১১ সেকেন্ডের ট্রেলারটিতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের কালো এক অধ্যায়ের গল্প।
ট্রেলারটির শুরু আল-কোরানের বাণী দিয়ে। সুরা আল মায়িদাহ থেকে কোট করা হয়েছে ‘যে একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা করলো সে যেন সমস্ত মানব জাতিকে হত্যা করলো এবং যে একজন নিরপরাধ ব্যক্তির জীবন রক্ষা করলো সে যেন সমগ্র মানব জাতিকেই রক্ষা করলো।’
নির্মাতার ভাষ্য, মুসলমান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় গ্রন্থ আল-কোরানের এই আয়াতটুকুর মধ্যেই লুকিয়ে আছে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ সিনেমার মূল ভাব।
সারা বিশ্বের মতো জঙ্গীবাদে আক্রান্ত হয়েছে বাংলাদেশও। দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে একযোগে বোমা বিস্ফোরণ, রমনা বটমূলে বোমা হামলা, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আঘাতসহ সর্বশেষ রাজধানীর হলি আর্টিজানে ভয়ঙ্কর হামলার ঘটনা বাঙালির হৃদয়ে ক্ষতচিহ্ন এঁকে দিয়ে গেছে। এসব ক্ষতাক্ত ঘটনাই যেন উঠে এসেছে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবিতে।
ছবির ট্রেলারে ফুটে উঠেছে তারই প্রতিচ্ছবি।
খিজির হায়াত খান বলেন, “কারা জঙ্গীবাদীর পথ বেছে নেন? কিসের উদ্দেশ্যে ধর্মের নামে অরাজকতা তৈরি করেন তারা? আর কাদেরকে উদ্দেশ্য করেই বা সুরা মায়িদাহ’র উদাহরণ টানা হয়েছে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ ছবিতে? ইসলাম কি ধর্মের নামে মানব হত্যাকে সমর্থন করে? ইসলাম কি জঙ্গীবাদের শিক্ষা দেয়?-আর এসব অসংখ্য প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যাবে ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ সিনেমায়।”
তিনি জানান, দেশের পতাকা বুকে ধারণ করে এক সাহসী যুবকের জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর গল্প ফুটে উঠেছে ছবিটিতে। অ্যাকশনের বাইরেও রোমান্স, নাচ-গান সবই থাকছে চলচ্চিত্রটিতে। ‘মিস্টার বাংলাদেশ’ পরিচালনা করছেন আবু আকতারুল ইমান।
ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য করেছেন নির্মাতা খিজির হায়াত খান ও হাসনাত পিয়াস। ছবির বিভিন্ন চরিত্রে আরো অভিনয় করেছেন লাক্স তারকা শানু, টাইগার রবি, মেরিয়ান, শামীম আহসান সরকার প্রমুখ।