প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘দেবী’। মুক্তির দিনক্ষণ যতোই এগিয়ে আসছে ততোই নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে চলচ্চিত্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। চলচ্চিত্রের প্রচারনায় উদ্ভাবনী নানা কৌশলে দর্শকের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টায় ইতিমধ্যেই প্রশংসায় ভাসছে ‘দেবী’ টিম। ইতিমধ্যেই দুই বাংলার শতাধিক তারকা চলচ্চিত্রটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে রাজপথে কিংবা ফুটবল মাঠে ‘দেবী’ ছুটছে দর্শক টানতে। ছুটছেন জয়া-চঞ্চল-অনিমেষ ও নির্মাতা অনম বিশ্বাস।
১৯ অক্টোবর খুব বেশি সিনেমা হলে মুক্তি পাচ্ছে না চলচ্চিত্রটি। দেশের ভালো সিনেমাহলগুলোতেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে প্রাথমিকভাবে। এমনটাই জানালেন চলচ্চিত্রটির পরিবেশক জাজ মাল্টিমিডিয়ার কর্ণধার আবদুল আজিজ।
তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি চলচ্চিত্র ‘দেবী’র সাফল্য আমার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘পোড়ামন টু’ চলচ্চিত্রকেও ছাড়িয়ে যাবে। কেননা ছবিটি আমি দেখেছি। আশা করছি দর্শকও পছন্দ করবেন। তবে, কম হলে মুক্তি দেয়ার কারণ, সব হলে একসঙ্গে মুক্তি দিয়ে লাভ নেই। আমার অভিজ্ঞতা বলে, এ ধরণের ছবি সাফল্যের পাশাপাশি ধীরে ধীরে এগুলেই লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব।”
অনুষ্ঠানে নিজের প্রথম প্রযোজিত ছবি নিয়ে আবেগে উদ্বেলিত জয়া ধন্যবাদ জানালেন সংশ্লিষ্ট সবাইকে। তবে, বক্তব্যের শুরুতেই জানালেন তার বেদনার কথাও। বললেন, “আমি প্রডিউসারদের কাছে গিয়েছিলাম। নতুন পরিচালক, কাজ ভালো করবে; বলেছিলাম তাদের। কিন্তু তারা আমার ওপর বিশ্বাস রাখতে পারেননি। আসলে বাংলাদেশে এখনও সেভাবে প্রডিউসারশিপ তৈরি হয়নি। একটা কথা, এখন সবাই জানেন, ‘দেবী’ হুমায়ূন আহমেদের অনবদ্য সৃষ্টি। কোনও অবকাশ নেই এতে। তবে ১৯ তারিখের (অক্টোবর) পর এটাও সবাই বিশ্বাস করবেন, অনম বিশ্বাস নামের একজন পরিচালক আছেন, যিনি ‘দেবী’ চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন।”
প্রখ্যাত বাচিক শিল্পী ও শিক্ষক নরেণ বিশ্বাসের পুত্র নির্মাতা অনম বিশ্বাস ততোটা প্রচারমুখী নন। তাই প্রচারণায়ও কম দেখা গেছে তাকে। নিজের প্রথম চলচ্চিত্র নিয়ে বলেন, “হুমায়ূন আহমেদের খুব জনপ্রিয় উপন্যাস এটি। ইতিমধ্যেই দর্শকের কানে পৌঁছে গেছে চলচ্চিত্রটি মুক্তির খবর। আমি অনুরোধ করবো দর্শকরা যেন মুক্তমন নিয়ে ছবিটি দেখেন। পড়া বইয়ের সঙ্গে হয়তো অনেক কিছুই মিলবে না। কেননা এটি আশির দশকের প্রেক্ষাপটে লেখা। আমরা চেষ্টা করেছি ওই সময়ের গতিটাকে ধরে রেখে নতুন একটা কিছু করতে। বাকিটা হলে গিয়ে দর্শক দেখবেন, মতামত দেবেন এ আশা করছি।”
চঞ্চল চৌধুরী আরও বলেন, “যতোই দিন ঘনিয়ে আসছে রাতের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে। জানিনা লাস্ট কবে ঠিকঠাক ঘুমিয়েছি। দর্শক কিভাবে আমাকে নেবেন তা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। আমি সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অভিনয় করে এসেছি। সেই মনপুরা থেকে টেলিভিশন, আয়নাবাজী কিংবা সর্বশেষ ‘দেবী’ পর্যন্ত। আশা করি দর্শক এবারও আমাকে গ্রহণ করবেন।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সেন্সরবোর্ড সদস্য ও প্রদর্শক সমিতির সভাপতি ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ, পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, নির্মাতা অনিমেষ আইচ, অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া, সংগীতশিল্পী প্রীতম আহমেদ প্রমূখ।