মুর্তজা বশীর রোববার গ্লিটজকে জানান, শনিবার সন্ধ্যায় প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো তার বাসায় ছিলেন কবরী। তার শরীরের খোঁজখবর নিয়েছেন; উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০১৩ সালে ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগছেন তিনি। মাঝখানে কিছুদিন স্বস্তি মিললেও গত ১৫ দিন ধরে রোগের প্রকোপ বেড়েছে বলে জানান এ চিত্রশিল্পী।
তার ভাষ্যে, চিকিৎসকদের পরামর্শে রোজ রাত ৯টা থেকে ভোর অবধি প্রায় ছয় ঘণ্টার মতো কৃত্রিম অক্সিজেন নিয়ে বাঁচতে হয় তাকে।
মুর্তজা বশীর বলেন, “সম্প্রতি শ্বাসকষ্টটা বেড়েছে; সঙ্গে অক্সিজেনটা কমে যাচ্ছে। অক্সিজেন মেশিন দিনে রাতে চলছে। ফলে মেশিনগুলোও দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। আরেকটা মেশিন কিনতে হবে; মেশিনটার দাম তিন লাখ টাকা। এত টাকা কোথায় পাব? কেউ যদি অনুদান দেয় তাহলে নিতে পারতাম।”
সরকারের তরফ থেকে কোনো সহযোগিতা কামনা করছেন কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরকার পছন্দের লোকদের হসপিটালের বিল থেকে শুরু করে পুরস্কার পর্যন্ত দেয়। এর আগে একবার চিকিৎসার জন্য আমাকে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিল। কিন্তু আমার খরচ হয়েছিল প্রায় ৫০ লাখ টাকা। ঘটনাটি পরে মেয়ে জানিয়েছিল; আগে জানলে টাকাটা ফেরত দিতাম।”
“সরকার অনেককে চিকিৎসার জন্য টাকা দিচ্ছে। আমি যেহেতু নির্দলীয় লোক, সেহেতু কোনো সহায়তা পাব না,” বলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এ চিত্রশিল্পী।
ভাষাবিজ্ঞানী ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ছেলে মুর্তজা বশীরের জন্ম ১৯৩২ সালের ১৭ অগাস্ট, ঢাকায়।
মুর্তজা বশীর একাধারে ভাষাসৈনিক, চিত্রকর, শিক্ষক, কবি, চলচ্চিত্র নির্মাতা, শিল্প নির্দেশক, গবেষক ও মুদ্রা বিশারদ। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনে ছিলেন তিনি, রক্তাক্ত আবুল বরকতকে যারা হাসপাতালে নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে এই শিল্পীও ছিলেন।